বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য ১০ টি যুগ্ম সচিবের পদ! কড়া বিরোধিতায় বিরোধীরা
বেসরকারি ক্ষেত্রের পেশাদারদের জন্য ১০ টি যুগ্ম সচিব পদের দরজা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।
বেসরকারি ক্ষেত্রের পেশাদারদের জন্য ১০ টি যুগ্ম সচিব পদের দরজা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের যুক্তি, নতুন ভাবনা, প্রশাসনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গী এবং অফিসারদের অভাব মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। ইউপিএসসিকে এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
সরকারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩ বছরের চুক্তিতে হবে এই নিয়োগ। বয়স হতে হবে ৪০-এর ওপর এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, সেরা প্রতিভাদের কাজে লাগাতেই এই সিদ্ধান্ত। সরকারের যুক্তি সচিবদের একটি কমিটি এবং নীতি আয়োগের সুপারিশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রিত্বের চারবছর সময় পেরিয়ে গেলেও, সরকারের কাজে গতি আসেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আমলাদের যুক্তি ছিল যুগ্ম সচিব পদে অফিসারের অভাব।
১০ টি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব পর্যায়ে বেসরকারি পেশাদারদের নিয়োগে সিদ্ধান্তে আগে অবশ্য আযুর্বেদ চিকিৎসক রাজেশ কোটেচাকে আষুষমন্ত্রকে এবং বিশ্বব্যাঙ্কের পরমেশ্বর আইয়ারকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Lateral recruitments to the posts of Joint Secretary in Govt of India notified. May the best talents from outside nurture public services.
— Ashok Khemka (@AshokKhemka_IAS) June 10, 2018
কেন্দ্রীয় সরকারে এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আইএএস মহলে। তবে বিষয়টি নিয়ে পিছনে আইএএস-দের বড় অংশ ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইএএস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আলোচনায় বসবে বলে জানা গিয়েছে।
Why are time-tested UPSC and SSC being sought to be undermined? To fill IAS ranks with Sanghis and undermine reservation too, in the BJP's last few months in office. pic.twitter.com/J26fl5BFYO
— Sitaram Yechury (@SitaramYechury) June 10, 2018
यह मनुवादी सरकार UPSC को दरकिनार कर बिना परीक्षा के नीतिगत व संयुक्त सचिव के महत्वपूर्ण पदों पर मनपसंद व्यक्तियों को कैसे नियुक्त कर सकती है? यह संविधान और आरक्षण का घोर उल्लंघन है।
— Tejashwi Yadav (@yadavtejashwi) June 10, 2018
कल को ये बिना चुनाव के प्रधानमंत्री और कैबिनेट बना लेंगे। इन्होंने संविधान का मजाक बना दिया है। pic.twitter.com/8shIHodMew
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। প্রশাসনিক কাজে সঙ্ঘী এবং বিজেপির লোক ঢোকাতেই এই প্রচেষ্টা বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস মুখপত্র পিএল পুনিয়া। অন্যদিকে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ইউপিএসসি ও এসএসসিকে এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়টিতে তফশিলি জাতি, উপজাতিদের সংরক্ষণের বিষয়টি কী ভাবে হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।