সিনেমাকেও হার মানাবে এই বাস্তব! এক ব্যক্তি সাত রাজ্যের চোদ্দ মহিলাকে বিয়ে করার অপরাধে গ্রেপ্তার
সিনেমাকেও হার মানাবে এই বাস্তব! এক ব্যক্তি সাত রাজ্যের চোদ্দ মহিলাকে বিয়ে করার অপরাধে গ্রেপ্তার
এও কী সম্ভব! সিনেমাকেও হার মানাবে এই ঘটনা। তবে অবাক হবেন না এটাই বাস্তব। মাত্র ৪৮ বছরের ব্যবধানে সাতটি রাজ্যের ১৪ মহিলাকে বিয়ে করেছেন এক পুরুষ। আর সেই অভিযোগেই সোমবার ভুবনেশ্বর থেকে অ্যাসেজেনারিয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ওড়িশার বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রে কী জানা গেল
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাসেজেনারিয়ান ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার পাটকুরা থানার অন্তর্গত বাসিন্দা। অভিযুক্ত বিয়ে করা মহিলাদের থেকে অনেক টাকা নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর পর সেই টাকা তিনি নিয়ে চম্পট দেন। তারপর পুলিশ তাকে ভুবনেশ্বর গ্রেপ্তার করেছেন।
অভিযুক্ত কটা বিয়ে করেন
জানা গিয়েছে, ১৯৮২ সালে অভিযুক্ত প্রথম বিয়ে করেছিলেন। তারপর ২০০২ সালে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এঘটনায় ভুবনেশ্বরের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ উমাশঙ্কর দাশ বলেন, অভিযুক্ত এই দুটি বিয়ে করার পর তিনি মোট ৫ টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ২০০২ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তিনি ইন্টারনেটে যে বিয়ে সংক্রান্ত ওয়েবসাইট আছে সেখানে তিনি তার নাম নথিভুক্ত করেন। এবং অনেক মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলেন। শুধু তিনি যে বন্ধুত্ব করেছিলেন তাই নয় তিনি তাঁদের বিয়েও করেন। তিনি আর আগের দুই স্ত্রীর অজান্তেই তিনি এই কাজ কয়েছিলেন।
পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তার লাস্ট স্ত্রী
অ্যাসেজেনারিয়ান তার লাস্ট স্ত্রীর সঙ্গে ওড়িশায় ছিলেন। তার স্ত্রী রাজধানী দিল্লিতে একজন স্কুল শিক্ষিকা। তিনি তার স্বামীর পূর্বের সব বিয়ের কথা জানতে পারেন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ তাকে ওড়িশায় যেখানে তিনি একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন সেখান থেকে গ্রেপ্তার করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি টার্গেট করতেন কম বয়সী অবিবাহিত মহিলাদের। তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ করার আগে তাঁদের থেকে থেকে টাকা নিতেন।
উমাশঙ্কর দাশ কী বলেন
পুলিশ উমাশঙ্কর দাশ বলেন, অভিযুক্ত একজন চিকিৎসক, আইনজীবী ও উচ্চ শিক্ষিত বলে পরিচয় দিতেন। তার এই মিথ্যে প্রলোভনে পা দিয়েছিলেন আধা-সামরিক বাহিনীতে কর্মরত একজন নারীও। তিনি মোট দিল্লি, পঞ্জাব, আসাম, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা -সহ মোট সাতটি রাজ্যে মহিলাদের প্রতারণা করেছেন। তার প্রথম দুই স্ত্রী ছিলেন ওড়িশাতেই।
ডিসিপি কী জানালেন
ডিসিপি বলেছিলেন, তার শেষ স্ত্রী যিনি স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা সময় বলেছিলেন ২০১৮ সালে নয়াদিল্লিতে তিনি বিয়ে করেন তাকে এবং ভুবনেশ্বরে নিয়ে এসেছিলেন। গত বছর জুলাই মাসে তিনি মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগটি তিনি করেছিলেন। তার একাধিক বিয়ের কথা জানতে পেরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন।
আগেও ২ বার গ্রেপ্তার কড়া হয়েছিল অভিযুক্তকে
পুলিশ অভিযুক্তের কাছ থেকে ১১ টি এটিএম কার্ড, চারটি আধার কার্ড ও অন্যান্য নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন। শুধু বিয়ে করেই তিনি খান্ত হননি। তার নামে প্রতারণারও অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তাকে আগেও দু'বার গ্রেপ্তার করেছেন। হায়দরাবাদ ও এর্নাকুলামে বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা ও ঋণ জালিয়াতির জন্য পুলিশের জালে তিনি পড়েছিলেন।