ওমিক্রন আতঙ্ক, সংশোধিত নির্দেশিকা জারি আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য, কী কী রয়েছে দেখে নিন
সংশোধিত নির্দেশিকা জারি আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য
দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জেরে শুক্রবারই কেন্দ্র আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করেছে। যার মধ্যে প্রধান হল বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ৭ দিনের জন্য বাধ্যতমামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে এই নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।
'ঝুঁকি–প্রবণ’ দেশের তালিকায় আরও নাম যোগ করা হয়েছে। যার মধ্যে ব্রিটেন সহ সব ইউরোপিয়ান দেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল,বোৎসোয়ানা, চিন, ঘানা, মরিশাস,নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে,তানজানিয়া,হংকং,ইজরায়েল,কঙ্গো,ইথিওপিয়া,কাজাখিস্তান,কেনিয়া,নাইজেরিয়া,তুনিশিয়া ও জাম্বিয়া রয়েছে। সংশোধিত নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে যে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পাশাপাশি যাত্রীদের আরটি–পিসিআর টেস্টও করতে হবে। প্রসঙ্গত, ইতালি থেকে চাটার্ড বিমানে করে অমৃতসরে আসার পর বিমানবন্দরে ১২৫ জন যাত্রীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপরই কেন্দ্র নড়েচড়ে বসে এই সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করে।
পুরো নির্দেশিকা দেখে নিন
) সমস্ত ভ্রমণকারীদের শেষ ১৪ দিনের ভ্রমণের বিবরণ সহ নির্ধারিত ভ্রমণের আগে অনলাইন এয়ার সুবিধা পোর্টালে (https://www.newdelhiairport.in/airsuvidha/apho-registration) স্ব-ঘোষণা ফর্মে সম্পূর্ণ এবং বাস্তব তথ্য জমা দিতে হবে।
২) যাত্রীদের অবশ্যই কোভিড-১৯-এর আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট আপলোড করতে হবে। বিমানে বসার ৭২ ঘণ্টা আগে এই টেস্ট করাতে হবে।
৩) প্রতিটি যাত্রীকে রিপোর্টের সত্যতা সম্পর্কে একটি ঘোষণাও জমা দিতে হবে এবং তা ভুল প্রমাণিত হলে ফৌজদারি বিচারের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে ওই যাত্রী।
৪) যাত্রা শুরু করার অনুমতি দেওয়ার আগে ওয়ারেন্টি হিসাবে যাত্রীদের পোর্টালে বা বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের কাছে একটি অঙ্গীকার দেওয়া উচিত যে তাঁরা সফরের পর হোম/প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন/স্ব-স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ সহ সরকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে চলবে।
৫) যে সমস্ত যাত্রীদের সফরের সময় পরীক্ষা করতে হবে, তাঁদের উচিত সময় মতো পরীক্ষার সুবিধার্থে এয়ার সুবিধা পোর্টালে অনলাইনে পরীক্ষাটি আগে থেকে বুক করা।
৬) বিমানবন্দরে আসার পর প্রত্যেক যাত্রীকে করোনা টেস্ট করা বাধ্যতমামূলক এবং তা নির্দিষ্ট করবে সংশ্লীষ্ট বিমান সংস্থা।
৭) ভারতে আসার পর যাত্রীদের সাতদিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং অষ্টম দিনের মাথায় আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে।
৮) ভ্রমণকারীদেরকেও কোভিড-১৯-এর পুনরায়ত্তি আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল অষ্টম দিনে এয়ার সুবিধা পোর্টালে আপলোড করতে হবে (সংশ্লিষ্ট রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে)। নেগেটিভ হলে, তারা পরবর্তী ৭ দিনের জন্য তাঁদের স্বাস্থ্যের আরও স্ব-পর্যবেক্ষণ করবে।
বোর্ডিংয়ের আগে
১) ঝুঁকি-প্রবণ দেশ থেকে আসার পর তা বিমান সংস্থাকে জানাতে হবে এবং পোস্ট-অ্যারাইভাল টেস্ট করাতে হবে, এরপর তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে, যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে এবং যদি পজিটিভ আসে তবে কড়া আইসোলেশন পদ্ধতিতে রাখতে হবে।
২) সংশ্লীষ্ট বিমান সংস্থা/এজেন্সির দেওয়া বিমান টিকিটে যাত্রীদের কি করণীয় আর কি করণীয় নয় তা উল্লেখ থাকবে।
৩) এয়ারলাইন্সগুলি শুধুমাত্র সেই যাত্রীদের বোর্ডিং করার অনুমতি দেবে যাঁরা এয়ার সুবিধা পোর্টালে স্ব-ঘোষণা ফর্মের সমস্ত তথ্য পূরণ করেছেন এবং নেগেটিভ আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট আপলোড করেছেন।
৪) থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর একমাত্র উপসর্গবিহীন যাতীরাই বিমানে বোর্ডিং করতে পারবেন।
৫) সব যাত্রীদের তাঁদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য বলা হয়েছে।
সফরের সময়
১) বিমানবন্দর, ফ্লাইটে এবং ট্রানজিটের সময় অনুসরণ করা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সহ কোভিড-১৯ সম্পর্কে বিমানে ঘোষণা করা হবে।
২) বিমানের ভেতর যেন সব ধরনের কোভিড-১৯ যথাযথ বিধি মেনে চলা হয় তা দেখার দায়িত্ব বিমান ক্রুয়ের।
৩) বিমানে যদি কোনও যাত্রীর কোভিড-১৯-এর রিপোর্টে উপসর্গ পাওয়া যায় তবে সেই যাত্রীকে নিয়মানুযায়ী আইসোলেট করে দেওয়া হবে।
৪) বিমানবন্দরে অযথা যাতে ভিড় না হয় সেই জন্য বিমানের মধ্যেই কোভিড-১৯ টেস্টের প্রয়োজনীয়তার কথা আগে থেকে যেন ঘোষণা করে দেওয়া হয়।