২৪ ঘন্টায় করোনায় সুস্থতার হার স্বস্তি দিচ্ছে চিকিৎসকদের! ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪২২
দেশে ক্রমশ ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। সেখানে দাঁড়িয়ে ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্যে কড়া কোভিড বিধি লাঘু করা হয়েছে। লাঘু করা হয়েছে নাইট কার্ফুও। ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই দেশে ফের সাত হাজারের কাছাকাছি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
দেশে ক্রমশ ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। সেখানে দাঁড়িয়ে ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্যে কড়া কোভিড বিধি লাঘু করা হয়েছে। লাঘু করা হয়েছে নাইট কার্ফুও। ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই দেশে ফের সাত হাজারের কাছাকাছি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
অন্যদিকে ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ওমিক্রন আক্রন্তের সংখ্যা পৌঁছে গেল ৪২২-এ। শনিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী সবথেকে বেশি সংক্রমনের খবর এসেছে মহারাষ্ট্র থেকেই। সেখানে ১১০ জন ওমিক্রন আক্রান্ত বলে জানা যাচ্ছে।
৭,০৯১ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন
মহারাষ্ট্রের পরেই দিল্লিতে ৭৯ জন ওমিক্রন আক্রান্ত, গুজরাতে ৪৯ জন, তেলেঙ্গানাতে ৩৮, কেরলে ৩৮, তামিলনাড়ুতে ৩৪, কর্ণাটকে ৩১টি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সামনে এসেছে। অন্যদিকে গিত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৯৮৭ জন। তবে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। ২৪ ঘন্টায় ৭,০৯১ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। তবে গোটা দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১৬২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। পাশাপাশি এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৭৬৬ জন। মোট সুস্থতার সংখ্যা ৩,৪২,৩০,৩৫৪ জন। মৃতের সংখ্যা মোট হল ৪,৭৯,৬৮২ জন।
সাপ্তাহিক সংক্রমণ 0.60 শতাংশ
সংক্রমণের দৈনিক দর 0.65 শতাংশ রয়েছে। যা গত ৪২ দিনের মধ্যে দুশতাংশ কম। সাপ্তাহিক সংক্রমণ রেটও 0.60 শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। এটা গত ৪১ দিনের মধ্যে এক শতাংশেরও কম। বলে রাখা প্রয়োজন গত বছর সাত অগস্টে সংক্রমণের সংখ্যা ২০ লাখ, ২৩ অগস্ট ৩০ লাখ এবং পাঁচ সেপ্টেম্বর ৪০ লাখেরও বেশী ছিল। আবার সংক্রমণের মোট মামলা গত ১৬ ডিসেম্বর ছিল ৫০ লাখ, ২৮ সেপ্টেম্বর ছিল ৬০ লাখ, ১১ অক্টোবর ৭০ লাখ, ২৯ অক্টবর ৮০ লাখ এবং ২০ নভেম্বর ৯০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। গত বছর দেশে ১৯ ডিসেম্বর সংক্রমণ মোট কোটির কাছে পউচগে গিয়েছিল। তবে এই বছর চার মে মাসেই দেশে মোট সংক্রমণ দুকোটির কাছে চলে গিয়েছিল। এবং ২৩ জুন তিন কোটির কাছাকাছি ছিল।
ক্রমশ সংক্রমণের হার বাড়তে থাকবে
করোনা ভাইরাসের নয়া এই ভ্যারিয়েন্টের কারনে ভারতে (Omicron Cases in India) ক্রমশ সংক্রমণের হার বাড়তে থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজ়ি (Dr Angelique Coetzee)। তাঁর এহেন মন্তব্য রীতিমত আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি করেছে। যদিও কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। ডক্টর কোয়েটজি বলেন, ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়লেও বেশির ভাগ মানুষেরই উপসর্গ অনেক কম হবে। যেমনটা দক্ষিন আফ্রিকাতে দেখা যাচ্ছে বলে দাবি তাঁর।
একের পর এক বড় ঘোষণা!
বড়দিনের সন্ধ্যায় একের পর এক বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। একই সঙ্গে ওমিক্রন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ। তিনি বলেন পরিস্থিতি বিচার করে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।৬০ বছরের বেশি বয়সীদের যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাদের চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বুস্টার ডোজের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদেরও এই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি সোমবার থেকে দেশের ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী নাগরিকদের করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে টিকাকরণ অভিযান শুরু হবে।