কাশ্মীর জুড়ে অস্থির পরিস্থিতি! ২ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ গৃহবন্দি রাজনীতিবিদরা
জম্মু ও কাশ্মীরে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করল প্রশাসন।
জম্মু
ও
কাশ্মীরে
অস্থির
পরিস্থিতির
মধ্যেই
দুই
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী-সহ
রাজনৈতিক
নেতাদের
গৃহবন্দি
করল
প্রশাসন।
রবিবার
গভীর
রাতে
এই
সিদ্ধান্ত
কার্যকর
করা
হয়।
ওমর
আবদুল্লা,
মেহবুবা
মুফতি
ছাড়াও
যাঁদের
গৃহবন্দি
করা
হয়েছে,
তাঁদের
মধ্যে
রয়েছেন,
সাজাদ
গণি
লোন।
সোমবার
রাজ্য
জুড়ে
স্কুল
কলেজও
বন্ধ
রাখার
নির্দেশ
দিয়েছে
প্রশাসন।
শ্রীনগরে
১৪৪
ধারা
জারি
করা
হয়েছে।
স্থানীয়
কেবল
টিভি
চ্যালেনও
বন্ধ
করার
নির্দেশ
দিয়েছে
প্রশাসন।
পরবর্তী
নির্দেশ
না
দেওয়া
পর্যন্ত
সংবেদনশীল
এলাকাগুলিতে
ইন্টারনেট
পরিষেবা
বন্ধ
করারও
নির্দেশ
দিয়েছে
প্রশাসন।
কোনও
ধরনের
মিটিং
মিছিল
করার
ওপর
নিষেধাজ্ঞা
জারি
করা
হয়েছে।
সরকারি
তরফ
থেকে
জানানো
হয়েছে,
গুরুত্বপূর্ণ
পরিষেবার
ক্ষেত্রে
সেইসব
সংস্থার
সঙ্গে
যুক্ত
কর্মীদের
পরিচয়পত্রকেই
সরকারি
অনুমতি
পত্র
হিসেবে
ধরে
নেওয়া
হবে,
যেখানে
প্রয়োজন
হবে।
এদিকে গৃহবন্দি হওয়ার আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের কণ্ঠ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরও গৃহবন্দি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সারা পৃথিবী দেখতে পাচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের কণ্ঠ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এই কাশ্মীরই ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে বেছে নিয়েছিল।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইটারের নিজের গৃহবন্দি করার কথা জানিয়েছেন। ভূস্বর্গ জগাখিচুড়িতে পরিণত হয়েছে। সেখানকার মানুষ ভয় এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে চলছেন। কেন্দ্রের তরফে প্রায় ৩৮ হাজার বাড়তি বাহিনী পাঠানোরও তিনি সমালোচনা করেন।
ইতিমধ্যেই অমরনাথ য়াত্রা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। গততিন দিনে রাজ্য থেকে ফিরে গিয়েছেন, দেশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও।
গতমাসে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল দুদিনের কাশ্মীর সফর শেষ করতেই এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। কেন্দ্র বাড়তি ১০ হাজার বাহিনী কাশ্মীরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।