ওড়িশায় হেডমাস্টারের ধর্ষণে গর্ভবতী কিশোরী, নির্যাতিতার পরিবারকেই 'বয়কট' গ্রামবাসীর
স্কুলের প্রধানশিক্ষকের হাতে ধর্ষিত হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে নবম শ্রেণির এক কিশোরী।
ওড়িশার কোরাপুট জেলায় আদিবাসী অধ্যুসিত এলাকায় স্কুলের প্রধানশিক্ষকের হাতে ধর্ষিত হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে নবম শ্রেণির এক কিশোরী। সেই ঘটনায় উল্টে নির্যাতিতার পরিবারকেই সামাজিক বয়কট করেছে গোটা গ্রাম।
জানা গিয়েছে, কোরাপুটের নন্দপুর ব্লকের বালদা এলাকার স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিশোরীকে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেছিল। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম বিধুভূষণ নায়েক। ছাত্রীর বাবা পুলিশ অভিযোগ জানাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
ছাত্রীটি পাঁচ মাসের গর্ভবতী হওয়ায় এখন আর গর্ভপাত করানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। একদিকে মেয়ের শরীর নিয়ে চিন্তা অন্যদিকে এই ঘটনার পর উল্টে গোটা গ্রাম মেয়েটির পরিবারকে বয়কট করে দিয়েছে। গ্রামবাসীর দাবি, গর্ভবতী মহিলাদের সাধ দিয়ে যেমন অন্যদের ভোজন করাতে হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে ছাড়া হবে না।
মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন, তিনি দিনমজুর। সকলকে খাওয়াতে গেলে অন্তত ৩০ হাজার টাকা লাগবে। এত টাকা কোথায় পাব? তার উপরে অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার খরচ রয়েছে।
এই ঘটনায় শুধু প্রধানশিক্ষক নয়, সঙ্গে আবাসিক এই স্কুলের মেট্রনও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনাকে জেলা প্রশাসন যৌন নিগ্রহ নয়, অবৈধ সম্পর্কের পরিণতি হিসাবে দেখছে।
ওড়িশা সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ধর্ষিত মহিলাকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে সেটা মেয়েটি পাবে কিনা তা বিচার্য বিষয়।