কমনা ছিল পুত্র সন্তানের, রাগে চার মাসের মেয়েকে ১৭ বার কুপিয়ে খুন করল মা!
জয়পুর, ৯ সেপ্টেম্বর : মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে হঠাৎ চেঁচেয়ি উঠেছিলেন বছর পয়ত্রিশের নেহা গোয়েল। মেয়েকে দেখতে না পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে দিশেহারা অবস্থা। চোখ-মুখ লাল, আলুথালু চুল, তাঁকে সামলাতে পারছিলেন ঘনিষ্ঠ, পরিজনেরা।
কিন্তু মেয়ে গেল কোথায়? চার মাসের ছোট্ট মেয়েটার নিথর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বাড়িতে রাখা অব্যবহৃত এয়ারকন্ডিশনার মেশিনের ভিতর থেকে, কম্বলে জড়ানো অবস্থায়। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ছোট্ট মাহিকার।
কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল মাহিকার? এয়ারকন্ডিশনার যন্ত্রের ভিতরেই বা সে গেল কী করে? পুলিশের অভিযোগ শোকাতুর মা নেহা গোয়েলই খুন করেছে মেয়ে মাহিকাকে। ছেলে সন্তান চেয়েছিলেন নেহা কিন্তু দ্বিতীয়বার মেয়ে হওয়ায় মেনে নিতে পারেননি তাই মাহিকার ছোট্ট শরীরকে ১৭ বার ছুরি দিয়ে কুপিয়েছেন নেহা।
বৃহস্পতিবার জয়পুরের বাসিন্দা নেহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি জেরার মুখে মাহিকাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন নেহা। আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ছেলে না হয়ে দ্বিতীয় মেয়ে হওয়াতে বেশ ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই এই ঘটনা।
স্বচ্ছল ব্যবসায়ী পরিবারের বউ নেহা। পয়সার কমতি ছিল না। ছেলের কামনায় আইভিএফ থেকে শুরু করে সারোগেসি এমনকী যজ্ঞ-পুজাপাঠও করেছিলেন বহু। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে যখন নেহা পুলিশকে জানায় তখন পুলিশও প্রথমটায় ভেবেছিল হয়তো টাকার জন্য অপহরণ করা হয়েছে মাহিকাকে। কিন্তু মাহিকার দেহ উদ্ধারের পর পুলিশের সন্দেহ হয় বাড়িরই কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মাহিকার শরীরে যে রক্ত পাওয়া যায় তা নেহার সঙ্গে মিলে যায়। নেহার ঘরের বাথরুম থেকেও রক্তের দাগ মেলে। সেখানেই প্রথম খটকা লাগে পুলিশের। নেহা এই ঘটনা ঘটিয়েছে জেনে হতবাক তাঁর পরিবার।
প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে ১৭ বার ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে মাহিকাকে। ১৭টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তার শরীরে।