দেশে ৩০০ পার করল ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা! রাত ১১টা থেকে নাইট কার্ফু জারির নির্দেশ এক রাজ্যের
দেশে ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে তামিলনাড়ু, কেরালা এবং কর্ণাটকে ফের ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আর সেই সন্ধান মিলতেই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেল। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রীয়
দেশে ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে তামিলনাড়ু, কেরালা এবং কর্ণাটকে ফের ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আর সেই সন্ধান মিলতেই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেল। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। এই অবস্থায় ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
বিশেষ করে বড়দিন এবং বর্ষবরনের জমায়েতে ফের একবার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আর সেই আশঙ্কা থেকেই রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের।
প্রতি মুহূর্তে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাটা বদলে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে একটি ডেটা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমণের নিরিখে সবার আগে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ৬ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। তালিকার একেবারে দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে দিল্লি। সে রাজ্যে ৬৪ জনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে।
এছাড়াও তেলেঙ্গানাতে ২৪ জনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে। এছাড়াও রাজস্থান, কর্নাটক এবং কলকাতাতেও ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এমনকি উত্তরাখণ্ডেও প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত একজনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ফলে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে।
এই অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধায় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুলত কীভাবে ওমিক্রন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় তা নিয়েই মুলত বৈঠক বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, অক্সিজেন থেকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সমস্ত বিষয়েই আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। এছাড়াও বাচ্চাদের ভ্যাকসিন সহ আরও বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ইস্যু নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক সহ একাধিক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, সচিবরাও উপস্থিত রয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই উঠে পড়ে লেগেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। নতুন করে ফের একবার সে রাজ্যে আরোপ হচ্ছে বিধি নিষেধ। জানা যাচ্ছে, আজ বৃহস্পতিবার শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই ফের নাইট কার্ফু লাঘু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাত ১১টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে। অন্যদিকে স্কুলগুলিতে উপস্থিতিও ৫০ শতাংশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে একগুচ্ছ কোভিড বিধি লাঘু করা হয়েছে। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে সাবধান থাকার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে কড়া ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গেও কড়া কোভিড বিধি দেওয়া হয়েছে। ওমিক্রন সংক্রমণের খবর সামনে আসতেই সতর্ক স্বাস্থ্য ভবন।