নোট বাতিলের চরম প্রভাব! ৫৫ বছরে ব্যাঙ্কে প্রথমবার 'ডিপোজিট গ্রোথ'-এ ব্যাপক কমতি
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে একাধিক দামী অঙ্কের নোটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। মনে করা হচ্ছে, তার কুপ্রভাব এবার পড়তে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে একাধিক দামী অঙ্কের নোটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। মনে করা হচ্ছে, তার কুপ্রভাব এবার পড়তে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে। ১৯৬৩ সালের পর প্রথমবার ব্যাঙ্ক গুলির 'গ্রোথ রেট' বা বৃদ্ধির হারে কমতি দেখা গেল। ২০১৭-১৮ সালের পরিসংখ্যানে ব্যাঙ্ক ডিপোজিট-এর বৃদ্ধির হার ৬.৭। যা ১৯৬৩ সালর পর সবচেয়ে কম। রিজার্ভ ব্যঙ্কের দেওয়া পরিসংখ্যান এমনই তথ্য জানাচ্ছে। তবে এর ফলে ব্যাঙ্কে সুদের হার বাড়ার সম্ভাবনা ফের তৈরি হচ্ছে বলে খবর। যে তথ্য বাস্তব রূপ পেলেই তা গ্রাহকদের কাছে সুখবর হয়ে উঠবে!
[আরও পড়ুন: 'তিন তালাক' ইস্যুতে অধ্যাদেশের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে মোদী সরকার ]
এক সর্বভারতীয় ইংরাজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী এই ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলের। এছাড়াও মিউচুয়াল ফান্ড ও ইনসিওরেন্স সমেত একাধিক ক্ষেত্রে গ্রাহকরা অর্থ সঞ্চয়ের সুবিধামত স্কিম পেয়ে যাওয়াতেও ব্যাঙ্কে টাকা রাখার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের নোট বাতিলের ঘটনার পর থেকে বাজারে নগদ টাকার পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। সূত্রেরদাবি আপাতত ৮৬ শতাংশ নগদ টাকা রয়েছে বাজারে। যা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। তবে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে এখন একটি ইতবাচক দিকও প্রভাব বিস্তার করছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভারতের সমস্ত ব্য়াঙ্কগুলি মিলিয়ে মোট ১৫. ২৮ লাখ কোটি টাকা ডিপোজিট হয়েছে নোট বাতিলের পর। ২০১৮ -এর মার্চের শেষে দেখা গিয়েছএ ব্যাঙ্কগুলিতে সেই ডিপোজিটের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ১১৪ লাখ কোটি টাকাতে। তবে এবার প্রশ্ন উঠছে, যে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, তাহলে সেই পরিমাণ অর্থ কোথায় গেল? উত্তর হতে পারে দেশের বিভিন্ন আর্থিক উপাদান।যেমন মিউচুয়ার ফান্ডের সম্পদের পরিমাণে ২০১৭-১৮ সালে ২২ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। ফলে এরকমই কিছু আর্থিক উপাদান কারণ হিসাবে থাকতে পারে এই ঘটনার নেপথ্যে।
[আরও পড়ুন:টিকিট না থাকলেও মহিলা যাত্রীকে ট্রেন থেকে নামানো যাবে না! জানুন বিস্তারিত ]