'এখন কেউ খালি পেটে ঘুমোতে যায় না'! লক্ষ লক্ষ মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন বলে দাবি মোদীর
'আপনার পরিবারের রেশনের সমস্যা দূর হয়েছে, এটা জেনে আমি খুশি।' গুজরাটের বাসিন্দাদের উদ্দেশে ভিডিও কনফরেন্সে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান অন্ন যোজনার গ্রাহকদের সঙ্গে ভার্চু
'আপনার পরিবারের রেশনের সমস্যা দূর হয়েছে, এটা জেনে আমি খুশি।' গুজরাটের বাসিন্দাদের উদ্দেশে ভিডিও কনফরেন্সে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান অন্ন যোজনার গ্রাহকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি জানান, অতিমারির মধ্যে এই যোজনার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। এর ফলে দরিদ্র মানুষের সমস্যা দূর হয়েছে। এই যোজনা নিয়ে কথা বলতেই এ দিন গ্রাহকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
এ দিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে মোদী বলেন, করোনা অতিমারির মধ্যে যাতে দরিদ্র মানুষের কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র। এই যোজনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে এ দিন বার্তাও দেন তিনি।
মোদী বলেন, 'স্বাধীনতার সময় থেকে প্রত্যেক সরকার গরিব মানুষকে খাবার দেওয়ার কথা বলে এসেছে। তাঁর দাবি, এই খাতে বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে, সস্তার রেশন স্কিমও আনা হয়েছে কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। খাবার মজুত করা হয়েছে পরিমাণ মতো, তা সত্ত্বেও মেটেনি অপুষ্টি। না খেয়ে থাকতে হয়েছে বহু মানুষকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সঠিক ডেলিভারি সিস্টেম ছিল না বলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মোদী জানান, এই পরিস্থিতির বদল আনতেইই ২০১৪ তে উদ্যোগ নেওয়া হয়। বহু ভুয়ো গ্রাহককে সিস্টেম থেকে বের করে দেওয়া হয়। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করানো হয়, রেশন দোকানে নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করা হয়। তিনি আরও বলেন, ' এখন আর কেউ খালি পেটে ঘুমোতে যায় না।'
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, 'বরাদ্দ থাকা ২ কেজি আটা ও ৩ কেজি চাল ছাড়াও প্রত্যেককে অতিরিক্ত ৫ কেজি চাল ও আটা দেওয়া হচ্ছে বর্তমানে। দিওয়ালি পর্যন্ত এই স্কিম চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই স্কিমে গুজরাটের সাড়ে ৩ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আগে এ দিন ভাষণ দেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও। উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিনভাই পটেলও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। জানা গিয়েছে, ৯৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী গত বছর দেওয়া হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। গুজরাটে ২.৩ কোটি গ্রাহককে দেওয়া হয়েছে ২৫.৫ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য সামগ্রী।
২০২০-২১-এ খাদ্যে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে ২.৮৪ লক্ষ কোটি টাকার।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থার কথা উঠে আসে। গোটা দেশের মানুষ এক টা রেশন কার্ডের মাধ্যমে এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর অগাস্টে প্রাথমিকভাবে দেশের চার রাজ্যে শুরু হয় এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প। বায়মেট্রিক রেশন ব্যবস্থা অথবা আধার সংযোগ থাকলেই দেশের যেকোনও প্রান্ত থেকে রেশন সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা।