করোনা আবহে কোন পথে চললে দেশের আর্থিক উন্নতি হবে, মোদী সরকারকে পরামর্শ নোবেলজয়ী অভিজিতের
করোনা আবহে কোন পথে চললে দেশের আর্থিক উন্নতি হবে, মোদী সরকারকে পরামর্শ নোবেলজয়ী অভিজিতের
দেশের অর্থনীতি অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে করোনা মহামারীর কারণে। গোটা একটা বছর বাইরের দেশে বাণিজ্য প্রায় থমকে গিয়েছিল। প্রবল ধাক্কা খেয়েছিল উৎপাদন শিল্পও। এখনও সেই ধাক্কা পুরোপুরি সামলে ওঠা যায়নি। অর্থনীতির চাকা গড়াতে শুরু করলেও চলছে ধীর গতিতে এই পরিস্থিতিতে কোন পথে হাঁটলে ভারতের অর্থনীতি প্রাণ ফিরে পেতে পারে তার ইঙ্গিত দিেলন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা ধাক্কা অর্থনীতিতে
গোটা বিশ্বেই অর্থনীতি রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অপ্রত্যাশিত মহামারীতে বাণিজ্য এক প্রকার থমকে ছিল একটা বছর। তাবড় ধনী দেশ এই ধাক্কার মুখে পড়েছে। ভারতেও বিপুল ধাক্কা এসেছে। রপ্তানি বাণিজ্য থেকে শুরু করে, উৎপাদন শিল্প সবেতেই প্রবল ধাক্কা খেয়েছে গোটা দেশ। দিনের পর দিন বন্ধ কারখানা। একাধিক শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে।কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। লকডাউন বিভীষিকার মতো নেমেএসেছে মানুষের জীবনে। সেই কাঁটা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি পরিযায়ী শ্রমিকরা। দফায় দফায় লকডাউনে অনেকেরই কাজ গিয়েছেষ বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে দেশে। গত একবছরে প্রবল সংকটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে গোটা দেশ।
অভিজিতের পরামর্শ
দেশের অর্থনীতি কীভাবে ট্র্যাকে ফিরতে পারে তার পরামর্শ দিলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের গ্লোবাল অ্যাডভাইসারি বোর্ডের সদস্য তিনি। তিনি জানিয়েছেন ভারতের অর্থনীতি চাঙ্গা হতে পারে এক মাত্র ফ্রি স্পেনডিং পলিসির বা মুক্ত খরচের নীতিতে। এক মাত্র এই পথে হাঁটলেও কোনও িদশা দেখবে দেশের অর্থনীতি। ইউরোপ এবং আমেরিকা যেভাবে করোনা পরিস্থিতিতে নিজেদের অর্থনীতিকে নতুন করে চাঙ্গা করে তুলেছে। এই পথই একমাত্র সেই দিশা দেখাতে পারে। খরচের সঙ্গে ঘাটতির সামঞ্জস্য রেখে চলতে হবে মোদী সরকারকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২১-এ যথেষ্ট মেপে মেপে বাজেট পেশ করেছে মোদী সরকার। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন দেশের এই আর্থিক সংকটের কথা মাথায় রেখে মোদী সরকার বাজেটে ব্যালেন্স করার দিকে বেশি মন দিয়েছেন। কিন্তু মুক্ত খরচের নীতিতে ভরসা রাখতে পারেননি। কিন্তু পশ্চিমের দেশগুলি এই নীতিকে হাতিয়ার করেই ফের নিজেদের অর্থনীতি চাঙ্গা করেছে।
ঘাটতি নিয়ে কম ভাবুন
মোদী সরকার ঘাটতি নিয়ে বেশি ভাবছেন। কর আদায়ে ঘাটতি, জিএসটি আদায়ে ঘাটতি।এরকমএকাধিক ঘাটতির বিষয়ে বেশি মন দিচ্ছে মোদীসরকার এমনই দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ঘাটতির দিকে বেশি মন না দিয়ে মুক্তনীতিতে হাঁটাই শ্রেয় হবে বলে মনে করছেন তিনি। একাধিক ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া এখন বেশি জরুরি।তাহলেই অর্থনীতির চাকা গড়াে শুরু করবে। রাশ টানলেই সেটা থমকে যাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ। মুক্ত হস্তে খরচের দিকে মন িদলেই অর্থনীতি নতুন করে চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
নবান্নে মমতার সঙ্গে বৈঠক
করোনা অর্থনীতির ধাক্কা সামলাতে আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে একাধিক ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেন মোদী। এলআইসি থেকে শুরু করে একাধিক ব্যাঙ্কের বেসরকারি করণের কথা ঘোষণা করা হয়। কয়লা খনি থেকে শুরু করে রেল সব ক্ষেত্রেই বেসরকারি করণের কথা বলা হয়েছে এই প্রকল্পে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে আমেরিকা থেকে কলকাতায় উড়ে এসেছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যয়। গ্লোবাল অ্যাডভাইজাির বোর্ডের সদস্য তিনি। আমেরিকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন নোবেল জয়ী। তিনি বলেছেন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই উন্নত।