মরেই গিয়েছে আইসন,দাবি বিজ্ঞানীদের
নাসা জানিয়েছিল, গ্রিনিচ প্রমাণ সময় সন্ধে সাড়ে ছ'টা নাগাদ সূর্যের ১২ লক্ষ কিলোমিটার কাছ দিয়ে ছুটে যাবে আইসন। ভারতীয় প্রমাণ সময় রাত বারোটা নাগাদ। মানুষের হিসাবে ১২ লক্ষ কিলোমিটার বিরাট দূর!! কিন্তু, মহাজাগতিক হিসাবে তা নস্যি মাত্র। যে সূর্যের পেটের ভিতর দেড় কোটি ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সবসময় আগুন জ্বলছে, তার ১২ লক্ষ কিলোমিটারের চৌহদ্দিতে এসে পড়া মানে সব শেষ! তবুও ক্ষীণ আশায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা। যদি শেষ মুহূর্তে কিছু ভেল্কি হয়। যদি বেঁচে যায় আইসন। কারণ, আইসন ধুমকেতুর বয়স ৪৬০ কোটি বছর। পৃথিবীর বয়সের সমান। তাই একে পর্যবেক্ষণ করে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস ছিল। কিন্তু, নাসাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ধূমকেতুর আর কোনও চিহ্ন নেই।
আইসন মরে গিয়েছে বলে দাবি করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১) গতকাল যখন সূর্যের আবহমণ্ডলে ঢুকে পড়েছিল আইসন, তখন সেকেন্ডে তার গতিবেগ ছিল ৩৫০ কিলোমিটার। সেই বেগে ছোটার সময় আইসনের পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ২,৭৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। ধূমকেতুর যা মূল উপাদান, অর্থাৎ বরফের টুকরো, ধূলিকণা, তা তখনই বাষ্পীভূত হয়ে গিয়েছে; ২) বাকি পাথুরে অংশ বিলকুল বাষ্প হয়ে উড়ে গিয়েছে সূর্যের প্রচণ্ড তাপে। প্রসঙ্গত, সূর্যের বহির্ভাগের তাপমাত্রা পাঁচ হাজার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। তার আবহমণ্ডলে সব সময় গরম ঝড় বইছে। এতেই শেষ হয়ে গিয়েছে আইসন। নাসার অন্যতম বিজ্ঞানী ডিন পেসনেল জানান, আইসনের ধ্বংসাবশেষ হয়তো দু'সপ্তাহ পর পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে। অনুরূপ কোনও ধূমকেতু আর সূর্যের কাছাকাছি আসছে কি না, তার খোঁজ চালানো হচ্ছে।