অক্সিজেনের হাহাকার ৬টি বেসরকারি হাসপাতালে, তালিকা প্রকাশ দিল্লি সরকারের
অক্সিজেনের হাহাকার ৬টি বেসরকারি হাসপাতালে
বরাদ্দ অনুযায়ী দিল্লিকে অক্সিজেন দেওয়ার হাইকোর্টের নির্দেশের কয়েক মিনিটের মধ্যেই জাতীয় রাজধানীর ছ’টি বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনের মজুত প্রায় শেষের দিকে বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। এই হাসপাতালগুলির মধ্যে সরোজ সুপার স্পেশালিটি ও শান্তি মুকুন্দ হাসপাতাল এদিন সকাল থেকেই অক্সিজেন সঙ্কটে ভুগছিল।
বৃহস্পতিবার
দুপুরেই
সরোজ
সুপার
স্পেশালিটি
হাসপাতাল
হাইকোর্টের
দ্বারস্থ
হয়
এবং
আবেদন
জানায়
যে
আইনক্স
সরবরাহকারীকে
অক্সিজেন
ছাড়ার
জন্য,
কারণ
আর
কিছুক্ষণের
মধ্যেই
তাদের
মজুত
শেষ
হয়ে
যাবে।
এর
পাসাপাশি
তীরথ
রাম
শাহ
হাসপাতাল,
ইউকে
নার্সিংহোম,
রাঠি
হাসপাতাল
ও
সন্তোম
হাসপাতালেও
অক্সিজেনের
ঘোর
সঙ্কট
দেখা
দিয়েছে।
এছাড়াও
হোলি
ফ্যামিলি
হাসপাতালেও
মাত্র
আড়াই
ঘণ্টার
মতো
পর্যাপ্ত
অক্সিজেন
রয়েছে,
এই
হাসপাতালে
অক্সিজেনের
ঘাটতি
গতকালও
দেখা
গিয়েছিল।
গতকালই
দিল্লি
হাইকোর্ট
সরকারকে
মনে
করিয়ে
দেয়,
গুরুতর
অসুস্থ
নাগরিকদের
জীবনরক্ষা
করা
কেন্দ্রের
দায়িত্ব।
বিশেষ
করিডর
করে
হোক
কিংবা
বিমানের
মাধ্যমেই
হোক,
যাদের
অক্সিজেন
প্রয়োজন
তাঁদের
কাছে
অক্সিজেন
পৌঁছে
দিতেই
হবে।
কেন্দ্র দিল্লিকে তার বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করেছে গতকাল, যদিও রাজধানীর এই মুহূর্তে প্রয়োজন ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের। কেজরিওয়ালের সরকার জানিয়েছে যে বরাদ্দ অক্সিজেন পেতেও খুব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন ট্যাঙ্কারগুলি আটকে দিচ্ছে। সুদূর বাংলা এবং ওড়িশা যে জায়গা থেকে অতিরিক্ত অক্সিজেন নিয়ে আসা হবে সেখানকার জায়গাগুলির অবস্থান সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজ্য। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র জানিয়েছে যে তারা অক্সিজেন স্থানান্তর করার জন্য একটি কৌশল তৈরি করছে।
মহারাষ্ট্রে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭,০১৩ জন, কমতি মুম্বইয়ের দৈনিক পরিসংখ্যানে
বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে বিশেষ করিডর ও আধা সেনার নিরাপত্তা দিয়ে অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলিকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হোক। অন্যদিকে কেন্দ্র জানিয়েছে যে অক্সিজেন স্থানান্তরের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, 'অক্সিজেন প্রস্তুতকারক ও সরবরাহ, যা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাসপাতালে সরবরাহ হচ্ছে তার ওপর কোনও বিধি নিষেধ আরোপ করা নেই।’ এখানে উল্লেখ্য, শিল্পক্ষেত্রে অক্সিজেন সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয় ৩,১৪,৮৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২,১০৪ জনের। যা ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বলে জানা গিয়েছে।