'ভারত থেকে কাশ্মীরকে আলাদা করব', ৩৭০ ধারা বিতর্কে উপত্যকা থেকে বিজেপিকে হুমকি ফারুকের
কাশ্মীর ইস্যু বার বার লোকসভা ভোটের অন্যতম প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। পুলওয়ামা পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানে এয়ারস্ট্রাইককে যেমন বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় সরকারের নীতির সাফল্য বলে তুলে ধরছে
কাশ্মীর ইস্যু বার বার লোকসভা ভোটের অন্যতম প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। পুলওয়ামা পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানে এয়ারস্ট্রাইককে যেমন বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় সরকারের নীতির সাফল্য বলে তুলে ধরছে, তেমনই কাশ্মীর উপত্যকায় বার বার উঠে আসছে আফস্পা ও ৩৭০ ধারার মতো ইস্যু। এদিন বিজেপির ইস্তেহারেও ৩৭০ ধারা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে বিজেপি।
৩৭০ নিয়ে বিজেপির অবস্থান
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা নিয়ে এখন ও পর্যন্ত একই অবস্থানে রয়েছে বিজেপি। এদিনের ইস্তেহারে অমনি তথ্য পরিবেশিত রয়েছে। পাশাপাশি, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার সমর্থনে দাবি জানায় বিজেপি।
|
ফারুকের তোপ!
এদিকে, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করা নিয়ে চরম তোপ দাগেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। তিনি বলেন,'বাইরে থেকে আসবেন, বসবাস করবেন, আর আমরা ঘুমিয়ে থাকব?আমার এর বিরুদ্ধে লড়ব। ৩৭০ কে কিভাবে বন্ধ করবে? ঈশ্বরের নামে শপথ করে বলছি , তিনও এটাই চাইবেন, আমরা এঁদের থেকে কাশ্মীরকে স্বাধীন হয়ে যাই। .. দেখব তারপর কে এঁদের পতাকা এখানে উত্তোলন করতে আসে!'
[আরও পড়ুন:দেশের ৭৫-এ ৭৫ মাইলস্টোন! তিন তালাক থেকে মহিলা সংরক্ষণ নিয়ে কোন পরিকল্পনায় বিজেপি]
ফারুকের দাবি
এদিনের ভাষণে ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, ১৯২৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ডোগরা জনজাতির সংখ্যা রক্ষা করার জন্য ৩৭০ ধারা আনেন। এরফলে সেই আইন অনুযায়ী বাইরে থেকে এসে এখানে কেউ জমি কিনতে পারবে না, বা কাজের জন্য আবেদন করতে পারবে না। ফারুকের দাবি ৩৭০ ধারা ধ্বংস মানে কাশ্মীরে বাইরের থেকে লোক এসে সেখানে বসবাস করবে , আর এতে কাশ্মীরিদের জনসংখ্যায় প্রভাব পড়বে।
[আরও পড়ুন: ভোট ব্যস্ততাতেও আদালতে হাজিরা! সেলিব্রিটি প্রার্থী নিয়ে নিজের মত জানালেন লকেট]