এফআইআরে নাম ছিল না, তবুও ভগৎ সিংকে ফাঁসি দেয় ব্রিটিশ সরকার!
সংগঠনটি পাকিস্তানের বুকে ভগৎ সিংয়ের কীর্তিকলাপ সংরক্ষণ করতে কাজ করছে দীর্ঘদিন। এর চেয়ারপার্সন ইমতিয়াজ রশিদ কুরেশি ভগৎ সিংয়ের ফাঁসির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন লাহোর হাই কোর্টে। আদালত সেই মোতাবেক পুলিশকে নির্দেশ দেয়। পুলিশের দেওয়া তথ্য থেকেই জানা গিয়েছে এ কথা।
১৯২৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় যুবকদের গুলিতে খুন হন পুলিশের এসএসপি জন সন্ডার্স। ওইদিনই বিকেলে লাহোরের আনারকলি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই এফআইআরে ভগৎ সিংয়ের নাম ছিল না। ছিল না রাজগুরু এবং সুখদেবের নামও। 'অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারী' শব্দগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। অথচ এই এফআইআরের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয় এবং ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে আদালত। ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ ভগৎ সিং, সুখদেব ও রাজগুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। আরও মালুম হয়েছে, সেই সময় ৪৫০ জন সাক্ষী ছিল। একজনেরও বয়ান নেওয়া হয়নি। যে পুলিশ অফিসাররা বলেছিলেন, ভগৎ সিং দোষী শুধু তাঁদের কথার ওপর গুরুত্ব দেন বিচারক। এই পুলিশ অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেওয়া হয়নি ভগৎ সিংয়ের আইনজীবীকে। বোঝা যাচ্ছে, আইনকানুনের বড়াই করা ব্রিটিশরা সেইদিন নিজেদের তৈরি আইনকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনজন অল্পবয়সী যুবককে কার্যত গায়ের জোরে ফাঁসিতে ঝোলায়।
সেই সময় ভারতের তরুণ সমাজ এর বিরোধিতা করলেও যিনি এটা নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে একটাও টুঁ শব্দ করেননি, তিনি হলেন মহাত্মা গান্ধী। অথচ সেই মর্মে তাঁকে আর্জি জানিয়েছিল কংগ্রেসের অনেক নেতা।
ইমতিয়াজ কুরেশি জানান, তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ভগৎ সিংকে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণ করা। এই মর্মে তিনি লাহোর হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশের হেফাজতে থাকা সব তথ্যপ্রমাণ চেয়ে পাঠানোর ব্যাপারে আদালতকে পরামর্শ দিয়েছেন।