লোকাল ট্রেনে ৮০ কিমি পর্যন্ত বাড়ছে না ভাড়া, বলল রেল মন্ত্রক
কিছুদিন আগেই মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের সব শ্রেণীতে ১৪.২ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে ভাড়া দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন নিত্যযাত্রীরা। মুম্বই ও হাওড়া-শিয়ালদহে বিপুল সংখ্যক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম লোকাল ট্রেন। তাঁদের পকেটে চাপ পড়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আন্দাজ করেই গতকাল রেলমন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মহারাষ্ট্রের একদল সাংসদ। এতে বিজেপি, শিবসেনা এবং রিপাবলিকান পার্টির দশজন সাংসদ ছিলেন। তাঁরা বোঝান, বহু গরিব মানুষ লোকাল ট্রেনে নিত্য যাতায়াত করেন। ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ায় তাঁদের পক্ষে জীবনধারণ করাই মুশকিল হয়ে পড়বে। তা ছাড়া, তিন মাস পরই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। ভাড়া না কমালে এটাকে হাতিয়ার করে জলঘোলা করবে কংগ্রেস। তাতে বিজেপি-শিবসেনা জোট সেখানে অসুবিধায় পড়বে।
রেলমন্ত্রী সব শুনে বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এর পর সব শুনে নরেন্দ্র মোদী সিদ্ধান্ত নেন, লোকাল ট্রেনের ভাড়া আংশিকভাবে বাড়ানো হবে। অর্থাৎ ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত এক পয়সাও বাড়বে না। তার পর ভাড়া বাড়বে দ্বিগুণ হারে নয়, ১৪.২ শতাংশ হারে। অর্থাৎ এই বৃদ্ধির হারও বিপুল কিছু নয়।
রেলের এই সিদ্ধান্তের ফলে মুম্বই শহরতলির ৭০ লক্ষ যাত্রী এবং হাওড়া-শিয়ালদহের ২০ লক্ষ যাত্রী সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, দূরপাল্লার ট্রেনে আজ, বুধবার থেকে ভাড়া বাড়লেও লোকাল ট্রেনে বাড়ছে ২৮ জুন থেকে। প্রসঙ্গত, মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-ও। কারণ ভাড়াবৃদ্ধিকে হাতিয়ার করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের পাল থেকে এ বার হাওয়া কেড়ে নিতে পারবে বিজেপি।