নি-খরচায় করোনা ভ্যাকসিন, ২০ লক্ষ চাকরি, নীতীশের মন্ত্রিসভায় পাস বিল, প্রতিশ্রুতি পূরণ করল বিজেপি
নি-খরচায় করোনা ভ্যাকসিন, ২০ লক্ষ চাকরি, নীতীশের মন্ত্রিসভায় পাস বিল, প্রতিশ্রুতি পূরণ করল বিজেপি
ভোট প্রতিশ্রুতি পূরণ করল বিজেপি। নীতীশের মন্ত্রিসভায় পাস হয়ে গেল ২০ লক্ষ চাকরি ও বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তাব। করোনা ভ্যাকসিনকে প্রথমই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে বিজেপি। নির্বাচনি ইস্তেহারে বিহারবাসীকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। তারপরেই বিপুল জয়। সরকার গড়ার এক মাস কাটতে না কাটতেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করল বিজেপি।
বিজেপির ভোট প্রতিশ্রুতি
বিহার বিধানসভা ভোটেই প্রথম করোনা ভ্যাকসিনকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করেছিল বিজেপি। নির্বাচনি ইস্তেহারে বিহার বাসীকে বিনামূল্যে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী-অমিত শাহরা। বিহারের ভোটে একদিনের জন্যও প্রচারে দেখা যায়নি অমিত শাহকে। ভোটের প্রচারের সিংহভাগ জুড়েই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীকে সামনে রেখেই এক কথায় বিহারে ভোটে লড়েছে বিজেপি। করোনা ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ২০ লক্ষ চাকরি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি।
মন্ত্রিসভায় পাস প্রস্তাব
সরকার গঠনের এক মাস পরেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করল বিজেপি। একসঙ্গে দুটি প্রস্তাব পাস করল নীতীশের মন্ত্রিসভা। প্রথমেই পাস করা হয়েছে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তাব। তারপরেই পাস করা হয়েছে ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই বিহারের যুবাদের কর্মসংস্থান দেওয়া হবে বলে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাস হয়েছে।
১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি তেজস্বীর
বিহার নির্বাচনে বিজেিপ সরকার গঠন করলেও বৃহত্তম দল হয়ে উঠতে পারেনি। সেই জায়গা দখল করেছে আরজেডি। বিহারের যবাদের কর্মসংস্থান ও পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতিয়ার করে নির্বাচনী প্রচারে পারদ চড়িয়েিছল বিজেপি। তিনি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করার দিনই ১০ লক্ষ চাকরি দেবেন বিহারের যুবকদের।
চাপে জেডিইউ
বিহারে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছে জেডিইউ। কিন্তু এবার আর সেই তেজ ছিন না নীতীশের। বিজেপি না থাকলে এবার আর সরকার গড়তে পারতেন না নীতীশ। অনেকেই নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদে আর দেখতে চাননি। বিজেপি সরকার গঠন করুক কিন্তু নীতীশ যেন মুখ্যমন্ত্রী না হন সেটা চেয়েছিলেন বিহারের সিংহভাগ ভোটারই। নীতীশ যে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এবারের বিধানসভা ভোটে।