বিজেপির মধ্যেই সক্রিয় হচ্ছে আর এক বিজেপি! ২০১৯-এর আগে চাপে মোদী-শাহরা
সাফল্যের সময় সমস্ত কৃতিত্ব নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। তাহলে ব্যর্থতার সময় দায় নেবেন না কেন? খোদ মোদী ক্যাবিনেটের মন্ত্রীর এই প্রশ্ন এখন অনেক প্রশ্নকে সামনে এনে দিচ্ছে।
সাফল্যের সময় সমস্ত কৃতিত্ব নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। তাহলে ব্যর্থতার সময় দায় নেবেন না কেন? খোদ মোদী ক্যাবিনেটের মন্ত্রীর এই প্রশ্ন এখন অনেক প্রশ্নকে সামনে এনে দিচ্ছে। মোদী-শাহের বিরুদ্ধে বিজেপির অন্দরে এই চাপা ক্ষোভ জমা হওয়ার পিছনে কি তাহলে রয়েছে সংঘ পরিবার?
কারও নাম না করেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নীতীন গড়কর়়ি এই কথা বলেছেন প্রকাশ্য সভায়। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তা বুঝতে অসুবিধা হবে না কারও। শনিবার তিনি প্রথমবার বলেন, দলের পারফরম্যান্স খারাপ হলে দলের সভাপতির উপরই দায় বর্তায়। সেই সহজ সত্যিটা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
সম্প্রতি হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে কংগ্রেসের কাছে হারের পর এখন বিজেপি যে সুখে নেই, নীতীন গড়করির এই প্রশ্নই সামনে এনে দিচ্ছে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে সংঘ চাইছে মোদী-শাহ জুটিকে চাপে রাখতে। ২০১৯-এ খারাপ ফল হলে তাঁরা ছাড়বে না বিজেপির জনপ্রিয় জুটিকে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, তাই এখন থেকেই মোদী-শাহ বিরোধী লবির নেতারা উল্টো সুর গাইতে শুরু করেছে। তবে নীতীন গড়করির এই প্রশ্ন কিন্তু বিজেপির অন্দরে চাপা ক্ষোভকে বের করে দিয়েছে। যদিও নীতীন গড়করি পরে বলেছেন, দলের কেউ তাঁর নিশানায় নেই।
যদিও সোমবার বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ফের বলেন, যদি তিনি দলের সভাপতি হন, আর দলের সাংসদ-বিধায়করা খারাপ পারফরম্যান্স করে, তার দায় তো তাঁকেই নিতে হবে। এবার তাঁর তির সরাসরিই ছিল অমিত শাহের দিকেই। এক্ষেত্রেও তিনি নাম করেননি কারও।
বিজেপির অন্দরের এই লড়াইয়ে একটা পক্ষ মনে করছে, নীতীন গড়করির এই আক্রমণ শুধু অমিত শাহকে নয়, ঘুরিয়ে মোদীকেও তিনি নিশানা করেছেন। বিজেপি প্যাঁচে পড়তে এখন প্রাক্তন সভাপতি নীতিন গড়করি থেকে শুরু করে রাজনাথ সিং, শিবরাজ সিং চৌহানরা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি স্থাপনের চেষ্টা করছেন। বিজেপির মধ্যে থেকে আর একটা বিজেপি উঠে আসছে।