যোগীর পর এবার মোদীর রাজ্য, ২৪ ঘণ্টায় একই হাসপাতালে ৯ সদ্যোজাতের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক
আহমেদাবাদের অন্যতম সেরা সরকারি হাসপাতালে একই দিনে নয় সদ্যোজাতের মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা। এরমধ্যে চারটি শিশুর জন্ম হয়েছিল আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালেই। বাকি পাঁচজনকে আনা হয়েছিল অন্য হাসপাতাল থেকে।
আহমেদাবাদের অন্যতম সেরা সরকারি হাসপাতালে একই দিনে নয় সদ্যোজাতের মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা। এরমধ্যে চারটি শিশুর জন্ম হয়েছিল আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালেই। বাকি পাঁচজনকে আনা হয়েছিল অন্য হাসপাতাল থেকে।
সূত্রের খবর শনিবারেই সবকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বেশির ভাগেরই মৃত্যুর কারণ হিসেবে সেপ্টিসেমিয়ার উল্লেখ করা হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের সামনে এই ঘটনায় কংগ্রেস সরাসরি আক্রমণ করেছে বিজেপি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে। একইসঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসায় বিজেপিকে আক্রমণে সুবিধাও পেয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে একাধিকবার হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শনিবারের এই শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে টুইটারে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। দলের তরফে গুজরাতের দায়িত্বে রয়েছেন এই কংগ্রেস নেতা।
Death of children reported in another BJP ruled State #Gujarat. My heart goes out to their parents n family members.May God gv them strength https://t.co/e94hxtpn9Z
— Ashok Gehlot (@ashokgehlot51) October 28, 2017
হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রায় সবকটি সদ্যোজাতের ওজন ছিল নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে কম। লুনাভাদা, সুরেন্দ্রনগর, মনসা, বীরাঙ্গম এবং হিম্মতনগরের হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় সেখান থেকে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে পাঁচটি শিশুকে রেফার করা হয়েছিল। যদিও তাদের বাঁচানো যায়নি।
নির্দিষ্ট পরিমাণের কম ওজন ছাড়াও জন্মের পর থেকেই তারা শ্বাসকষ্টে ভুগছিল বলে জানা গিয়েছে। আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে জন্মের পরেই মৃত চারটি শিশুর মধ্যে তিনজন শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। বাকি সদ্যোজাত মেকোনিয়াম অ্যাসপিরেশন সিনড্রোমে ভুগছিল বলে জানা গিয়েছে।
শিশু মৃত্যুর সময় আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সব চিকিৎসক এবং নার্স উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই ইউনিটে ১০০ টি বেড রয়েছে। গুজরাতের বেশিরভাগ জায়গা থেকেই এখানেই অসুস্থ সদ্যোজাতদের রেফার করা হয়।
এদিকে শিশু মৃত্যুর ঘটনার পরেই, তদন্তের জন্য সরকারের তরফে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন, শিশু চিকিৎসক, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন সরকারি আধিকারিক। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।