হায়দ্রাবাদে আইএসআইএস মডিউলের পর্দাফাঁস! ধৃত ৫, বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল
হায়দ্রাবাদ, ৩০ জুন : এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয় বড় সাফল্য পেল এনআইএ। বুধবার অভিযান চালিয়ে হায়দ্রাবাদ থেকে আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ, এছাড়াও ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। ধৃত ৫ জনের মধ্যে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারও রয়েছে বলে এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে। [ভারতীয় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের ধরে জঙ্গি দলে ঢোকাতে চাইছে আইএসআইএস]
ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর হয়ে এদেশের বিভিন্ন ধর্মস্থানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শহরে শহরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ছক কষছিল তারা। পাশাপাশি, শপিং মল, পুলিশ স্টেশন, বাজার প্রভৃতি জায়গাকে টার্গেট করে বড়সড় হামলার ব্লু প্রিন্ট বানানো হয়েছিল।[টাকা জোগাতে ফেসবুকে যৌনদাসীদের নিলাম আইএসআইএসের]
এনআইএ সূত্রের খবর, ভারতে থাকা আইএস সৈন্যরা মহম্মদ সফি আরমার নামের আইএস জঙ্গির নেতৃত্ব কাজ করছিল। আরমার সিরিয়ার রাকা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বা ফোনের মাধ্যমে নির্দেশ পাঠাত ভারতে কাজ করা জঙ্গিদের কাছে। [ মহিলাদের ধরে যৌনদাসী বানাচ্ছে বাঙালি আইএস জঙ্গি সিদ্ধার্থ ধর]
ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক, অ্যাসিড, আধুনিক মানের অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উন্নতমানের গ্লাভস, মাস্ক তারা ব্যবহার করত যা বোমা তৈরির সময় যে কোনও আঘাত বা ক্ষত থেকে তাদের রক্ষা করত, এমনকী নিজেদের পরিচয় গোপন করতেও তা কাজে লাগত। ধৃতদের সবার বয়স, ২৪ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে ছিল। [যৌনদাসী হতে রাজি না হওয়ায় ২৫০ জন নারীকে হত্যা আইএসআইএসের]
অস্ত্র ছাড়াও জঙ্গীদের ডেরা থেকে ৪০টি মোবাইল ফোন, ৬টি ল্যাপটপ, একটি পেনড্রাইভ, ৩২টি সিম কার্ড এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। এছাড়াও নাইট্রেট বিস্ফোরকও উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে। [যেভাবে 'শান্ত অধ্যাপক' থেকে হিংস্র আইএস প্রধান হয়ে উঠেছে আল-বাগদাদি]
হায়দ্রাবাদে বসেই প্রয়োজনীয় অর্থ ও অস্ত্রসস্ত্রের জোগান পেত এই জঙ্গিরা। সবার অলক্ষ্যে হায়দ্রাবাদের ভিতরই আইএসআইএস মডিউল তৈরি করে ফেলেছিল তারা। হায়দ্রাবাদে বড়সড় নাশকতার ছক কষা হচ্ছে, গোয়েন্দাসূত্রে এই খবর পাওয়ার পর তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। [ভারতে আইএস জঙ্গিদের মূল উৎস পশ্চিমবঙ্গ, দাবি গোয়েন্দাদের]
উল্লেখ্য, বছরের গোড়ার দিকেই আইএসআইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করার অভিযোগে গোটা দেশে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ১৪ জন সন্দেহভাজনকে ধরেছিল এনআইএ। পরে এদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে গত বছর, ভারতে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্য নিয়োগের কাজ চালানোর অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে মনে করা হচ্ছে এখনও বেশ কিছু ভারতীয় আইএসআইএস-এ যোগ দেওয়ার জন্য ইরাক ও সিরিয়ায় পাড়ি দিতে পারেন। [চাকরির সাইট দেখে কর্পোরেট কায়দায় ভারতে জঙ্গি নিয়োগ আইএসআইএস-এর]