আইটি আইন থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই নয়া চাল, কোনও সারবত্তা নেই টুইটারের বিবৃতির! তোপ কেন্দ্রের
আইটি আইন থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই নয়া চাল, কোনও সারবত্তা নেই টুইটারের বিবৃতির! তোপ কেন্দ্রের
আইনি কোপ ও আদালতের সাঁড়াশি চাপের মুখে পড়ে কয়েকদিন আগেই মাথা ঝুঁকিয়েছে টুইটার। এমনকী কেন্দ্রের নয়া আইটি আইন মেনে ভারতীয় অভিযোগ গ্রহণকারী অফিসার নিয়োগেও সম্মতি জানিয়েছে তারা। এদিকে এই গ্রিভান্স অভিসার নিয়োগ নিয়েই কেন্দ্র-টুইটার টানাপোড়েন চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু আপতভাবে সংঘাতের রাস্তায় স্থিতাবস্থা ফিরলেও এখনও থামেনি বিরোধ।
২৭ তারিখের বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের সময়েই মে মাসের ২৭ তারিখ একটি বিবৃতি জারি করতে দেখা যায় টুইটারকে। ওই বিবৃতিতেই ভারতীয় কর্মচারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সুরক্ষার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্বখ্যাত মাইক্রোব্লগিং সংস্থা টুইটার। এবার তা নিয়েই টুইটারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের দাবি ভারতীয় আইন না মেনে, উল্টে নিজেদের দোষ ঢাকতেই 'ভুলভাল' বকছে টুইটার।
টুইটারের মন্তব্যের কোনও সারবত্তাই নেই
এমনকী টুইটারে মন্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই বলেও দাবি কেন্দ্রের। আসল ঘটনা থেকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই নিত্যনতুন গল্প রচনা করছে এই মার্কিন সংস্থা। এই প্রসঙ্গে বিতর্ক চলাকালীন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর সংসদে বলেন, ভারতের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতেই এই কাজ করেছে টুইটার। কিন্তু সরকার দেশে প্রাণবন্ত প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ইকোসিস্টেমের বিকাশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টুইটারের এই চাল বিশেষ কাজে আসবে না।"
নয়া আইটি আইন ক্ষোভ প্রকাশ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার
পাশাপাশি টুইটার বিতর্কে সংসদে রাজীব চন্দ্রশেখর আরও বলেন, "সরকার ইতিমধ্যে আশ্বাসও দিয়েছে টুইটার সহ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের প্রতিনিধিরা ভারতে নিরাপদে রয়েছেন। এমনকী তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষাও কোনোভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে না।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধু টুইটার নয়, নয়া আইটি আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে একাধিক তাবড় তাবড় তাবড় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম।
সমস্যার সূত্রপাত কোথায় ?
অনেকেরই দাবি নয়া আইটি আইনকে হাতিয়ার করে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত পরিসরে নাক গলাতে চাইছে সরকার। এমনকী সাইবার দুনিয়ার সমগ্র রাশ নিজের হাতেই রাখতে চাইছে কেন্দ্র। সংস্থাগুলির নিজস্ব স্বাধিকারেও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ওটিটি ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলিতে কড়া নজরদারি চালাতে চাইচে সরকার। এমনকী স্বতন্ত্র কন্টেন্টের উপরেও বসাতে চাইছে সেন্সরশিপের কোপ। আর এই নিয়েই তুমুল বিতর্ক চলছে গোটা দেশজুড়ে।