শপিংয়ের আগে করতে হবে আগাম বুকিং, লকডাউন পরবর্তী সময়ে জারি হতে পারে নতুন নিয়ম
শপিংয়ের আগে করতে হবে আগাম বুকিং, লকডাউন পরবর্তী সময়ে জারি হতে পারে নতুন নিয়ম
লকডাউন মিটলে শপিংয়ের চিন্তা মাথায় থাকলে করতে হতে পারে আগাম বুকিং। পছন্দসই নামী ব্র্যান্ডের দোকানে ঢুকতে গেলে সুরক্ষাবর্মে নিজেকে ঢেকে তারপরেই ঢুকতে হতে পারে, জানাচ্ছে সূত্র।
ক্রেতাদের সুরক্ষার্থে পদক্ষেপ
২৯ শে এপ্রিল ব্র্যান্ডগুলি একযোগে রিটেলারস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া(আরএআই)-এর উদ্যোগে আয়োজিত একটি ওয়েব সেমিনারে আগামী দিনে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ব্যবসার হালহকিকত ও পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা করে। সেখান থেকেই ফ্যাব ইন্ডিয়ার কর্ণধার অজয় কাপুর জানান, "অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে শপিং করাটা একটি নতুন পদক্ষেপ এবং এমন উদ্যোগের জন্যে সকল কর্মী একযোগে সরকারি বিধি মেনেই কাজ করতে পারবেন।" ব্ল্যাকবেরির কর্ণধার নিতিন মোহনের কথায় উঠে এসেছে দোকানের কর্মচারীদের সুরক্ষার বিষয়। তিনি জানান, "লকডাউনের পরেই সমস্তরকমের ব্র্যান্ডের দোকানগুলিতে ভিড় উপচে পড়বে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা সত্যিই কঠিন এই সময়ে। তাই অন্তত দোকানের কর্মচারীদের সুরক্ষার্থে আমরা সবসময় দোকানের দরজার হ্যান্ডেল থেকে টাকার কাউন্টার, সব জায়গা জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টা করছি।"
ক্রেতাদের সুরক্ষার আবহ দিতে বদ্ধপরিকর ব্র্যান্ডগুলি
ফসিলস ইন্ডিয়ার কর্ণধার সুমিত ঘোষের কথায়, "শপিং মল এবং দোকানগুলির মূল লক্ষ্য একটি জীবাণুমুক্ত আবহ ক্রেতাদের জন্য তৈরি করা। প্রথম কয়েকজন যদি এই আবহে সুরক্ষিত বোধ করেন, তাহলে সহজেই মুখে মুখে এই কথা ছড়িয়ে পড়বে এবং আরও মানুষ দোকানমুখী হবেন।" ব্ল্যাকবেরির পক্ষ থেকে কর্মচারীদের বাড়িতে প্রতি সকাল-সন্ধ্যা খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং শপিংমলগুলিতে কোনো ক্রেতা একবার কোনো জামা পরিধান করে দেখলে, সেটি বেশ কিছুদিন ফেলে রেখে পুনরায় দোকানে ঝোলানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে অনলাইন মাধ্যমে গুরুত্ব
শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করার একমাত্র উপায় অনলাইন। আর তাই ব্র্যান্ডগুলি ডিজিটাল দোকানের উপর জোর দিচ্ছে। ক্রেতাদের একটি সুরক্ষিত আবহ উপহার দেওয়ার উদ্দেশ্যে নামীদামী ব্র্যান্ডগুলি অনলাইনে ক্রেতাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিছু নামী ব্র্যান্ড ইতিমধ্যে তাদের অনলাইন নির্ভরতার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, করোনা মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে ব্র্যান্ডের অফলাইন দোকানগুলির এখনও ৯-১২ মাস সময় লাগতে পারে।
কর্মচারীদের চাকরি নিয়ে শঙ্কা
আরএআইয়ের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ধাক্কা সামলাতে ২০-২৫% ব্র্যান্ডের আর্থিক সাহায্য দরকার, ২৫% চাকরি বিপদসীমায় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির কারণে মাত্র ৭-৮% ব্র্যান্ড চালু আছে। ব্র্যান্ডগুলি এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের অপেক্ষায়, করোনাকে সামাল দেওয়া গেলে উৎসব ও বিবাহের কারণে ব্র্যান্ডগুলি পুনরুজ্জীবিত হবে বলে মত ব্যবসায়ীদের।