ব্যবসায় বার্ষিক টার্নওভার ৫ কোটির বেশি জিএসটির ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম, বাধ্যতামূলক হচ্ছে ই-ইনভয়েসিং
ব্যবসায় বার্ষিক টার্নওভার ৫ কোটির বেশি জিএসটির ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম, বাধ্যতামূলক হচ্ছে ই-ইনভয়েসিং
কেন্দ্র সরকার জিএসটির ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম নিয়ে এসেছে। যে সব ব্যবসার টার্নওভার ৫ কোটির বেশি, সেক্ষেত্রে নিয়মগুলো প্রযোজ্য হবে। বছরে ৫ কোটির টার্নওভার হলে ই-ইনভয়েসিং বাধ্যমূলক করল সরকার। রাজস্ব ফাঁকি এড়াতে কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিএসটির অধীনে ১ জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।
ই-ইনভয়েসিং কী
ই-ইনভয়েস হল এমন একটি সিস্টেম যেখানে প্রতিটি চালানের জিএসটি পোর্টালে ইলেকট্রনিক প্রমাণ থাকবে। এই ই-ইনভয়েসিং বা ইলেকট্রনিক ইনভয়েসিং সিস্টেমের অধীনে জিএসটি নেটওয়ার্কে (জিএসটিএন) ইনভয়েস রেজিস্ট্রেশন পোর্টালে (আইআরপি) প্রতিটি চালানের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট নম্বর থাকবে। যার ফলে প্রতিটি চালানের ইলেকট্রনিক প্রমাণ থাকবে।
ই-ইনভয়েসের সুবিধা
এর ফলে বিভিন্ন সংস্থার চালান প্রক্রিয়া অনেক কাজ হবে। জিএসটির জন্য আলাদা সময় ব্যয় করতে হবে না। প্রতিটি চালানের ক্ষেত্রে প্রমাণ প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যাবে। ইলেকট্রনিক্স ইনভয়েসের ক্ষেত্রে ভুলভ্রান্তি এড়ানো সম্ভব। খুব সহজে ট্র্যাক করা সম্ভব। তবে এখনও পর্যন্ত এই উন্নত প্রযুক্তির পোর্টালটি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ডিসেম্বরের মধ্যে পোর্টালটি প্রস্তুত করার জন্য সরবরাহকারী সংস্থাকে কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে। জিএসটি পর্যায়ক্রমে ইলেকট্রনিক্স চালান কার্যকর করবে বলে জানা গিয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের প্রধান উদ্দেশ্য হল।
বিজনেস টু বিজনেস লেনদেনের ক্ষেত্রে
জিএসটি কাউন্সিল ১ অক্টোবর থেকে বিজনেস টু বিজনেস লেনদেনের ক্ষেত্রে যাদের টার্নওভার বছরে ১০ কোটির বেশি, তাদের ক্ষেত্রে ই-ইনভয়েসিং বাধ্যতামূলক করছে। বিজনেস টু বিজনেসে যাদের টার্নওভাবে বছরে ৫ কোটির বেশি, তাদের জন্য ই ইনভয়েসিং ১ জানুয়ারি থেকে বাধ্যতামূলক হবে।
সেপ্টেম্বরে বাড়ল জিএসটি
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট জিএসটি সংগ্রহ করা হয়েছে ১,৪৭,৬৮৬ কোটি টাকা। তারমধ্যে সিজিএসটি পরিমাণ হল ২৫,২৭১ কোটি টাকা। এসজিএসটির পরিমাণ হল ৩১,৮১৩ কোটি টাকা। আইজিএসটি হল ৮০,৪৬৪ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, টানা সাত মাস জিএসটি রাজস্ব ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার ওপর সংগ্রহ করেছে। যা ভারতের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। সরকারি বিবৃতি অনুসারে সেপ্টেম্বরে জিএসটি ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জিএসটি বাড়ার সম্ভাবনা
ভারতের KPMG-এর অংশীদার (পরোক্ষ কর) অভিষেক জৈন বলেছেন, সেপ্টেম্বর মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। পরবর্তী মাসগুলোতে জিএসটির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি। গত বছরে এই সময়ের তুলনায় চলতি বছরে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী মাসগুলোতে উৎসবের মরশুম আসছে। আর তার জেরে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ যে বাড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দ্বিধায় শিন্ডে শিবির, দ্বিতীয়বার নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের বিকল্প প্রতীক জমা