'যৌন হেনস্থা এড়াতে নিজের দেহ ছিন্নভিন্ন করে রাখতাম', হোম কেলেঙ্কারিকাণ্ডে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য
যতদিন যাচ্ছে ততই এগোচ্ছে বিহারের মুজাফফরনগরে 'বালিকা গৃহ' হোম-এ যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘিরে তদন্ত প্রক্রিয়া।
যতদিন যাচ্ছে ততই এগোচ্ছে বিহারের মুজাফফরনগরে 'বালিকা গৃহ' হোম-এ যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘিরে তদন্ত প্রক্রিয়া। যে হোমটিতে অনাথ নাবালিকাদের আশ্রয় দেওয়া হত, তা একপ্রকার আতঙ্কের আবাসস্থল হয়ে উঠেছিল আবাসিক নাবালিকাদের জন্য। হোম-এ ধর্ষণ ও যৌন অত্যাচারের কথা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় পুলিশি অভিযান। এপর্যন্ত ৩৪ জন নাবালিকাকে ওই হোম-এ ধর্ষণ করা হয় বলে খবরে উঠে আসে। ঘটনায় ১১ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওই হোম থেকে নাবালিকাদের উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর এগোতে থাকে পুলিশি তদন্ত। আর তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সামনে প্রশ্নের উত্তরে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য জানাতে থাকে উদ্ধার হওয়া নাবালিকারা। যৌন অত্যাচারের শিকার ওই নাবালিকারা জানিয়েছে, তাদের খাবারের মধ্যে যৌন উত্তেজনামূলক ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হত। তারা জানিয়েছে, জোর করে তাদের নগ্ন করিয়ে শুতে বাধ্য করা হত। কোনওভাবে কোনও বিষয়ে প্রতিবাদ করলে, মারধর চলত অকথ্য। এক নাবালিকা তার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, যে সমজাসেবা সংস্থার হোম-এ তারা ছিল , তার প্রধান ব্রিজেশ কুমার ঠাকুরের সঙ্গে শোবার জন্য বাধ্য করা হত নাবালিকাদের।
এখানেই শেষ নয়, অনেকেই নগ্নভাবে রাতে শোবার পর তার সঙ্গে কী ঘটেছে তা মনে করতে পারছেনা, তবে সকালে উঠে গায়ে হাতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা যে হত তাদের, তা পুলিশকে স্পষ্ট জানিয়েছে নাবালিকারা। উল্লেখ্য়, এই নাবালিকাদের বয়স বেশিরভাগই সাত থেকে ১৮ এর মধ্যে। নিজেদের এই সমস্ত অত্যাচার থেকে বাঁচাতে নাবালিকারা নিজেদের গা হাত পা কেটে ছিন্নভিন্ন করে রাখত। যাতে যৌন যন্ত্রণা তথা অত্যাচার সহ্য করতে না হয়। এমনই করুণ কাহিনি উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে পুলিশকে।
[আরও পডুন:গর্ভবতী ছাগলকে ৮ জন মিলে গণধর্ষণ, মর্মান্তিক পরিণতিতে হইচই হরিয়ানায়]