কোভিডে লাগাম, গত একসপ্তাহে দেশের পাঁচভাগের একভাগ জেলায় নেই আক্রান্তের নজির
কোভিডে লাগাম, গত একসপ্তাহে দেশের পাঁচভাগের একভাগ জেলায় নেই আক্রান্তের নজির
১৬ই জানুয়ারি ভারতে প্রথম পর্যায়ের টিকাকরণ শুরুর পর কেটে গেছে প্রায় দেড়সপ্তাহ। ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে প্রথম দফার টিকাকরণের আওতায় আনা হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মী সাফাই কর্মী সহ প্রথম সারির কোভিড-যোদ্ধাদের। এরই মাঝে কেন্দ্রের নয়া রিপোর্টে আশার আলো দেখল চিকিৎসকমহল। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত একসপ্তাহে ভারতের মোট জেলার পাঁচভাগের একভাগ জেলায় নতুন করে একজনও করোনা সংক্রামিত হননি! যদিও সুখবর শোনালেও নাগরিকদের এখনও কোভিডবিধি মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
দেখা যাচ্ছে নতুন আশার আলো
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সূত্রে খবর, প্রায় ২৪ লক্ষ প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রথম পর্যায়ের টিকাকরণের আওতায় আনা সম্ভবপর হয়েছে। করোনা সংক্রমণের তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারত থাকলেও মধ্য-সেপ্টেম্বরের পর থেকেই ভারতে কমেছে সংক্রমণের জোয়ার। এদিকে বিশেষজ্ঞদের ধারণা ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে ইতিমধ্যেই প্রকৃতির নিয়মে করোনায় আক্রান্তের বাড়বাড়ন্তের মাঝেই মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে গোষ্ঠী প্রতিরোধী ক্ষমতা। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে নতুন আশার আলো।
গত একদিনে আক্রান্ত ১২,০০০
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট মোতাবেক, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ১২,০০০-এ। তাছাড়া ভারতের ৭১৮টি জেলার মধ্যে ১৪৬টি জেলায় গত একসপ্তাহে ও ১৮টি জেলায় গত দু'সপ্তাহে নতুন করে একজনও আক্রান্ত হননি। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যেই প্রায় ৩০কোটি নাগরিককে টিকা দিতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র সরকার।
কমছে মৃত্যুর হার
এদিকে এখনও পর্যন্ত ভারতে প্রায় ১.০৭ কোটি মানুষ আক্রান্ত হলেও মারা গেছেন ১,৫৩,৮৪৭ জন। আন্তর্জাতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের সকল দেশের মধ্যে ভারতের মৃত্যুহার বেশ কম। ভারতের অন্যতম বৃহৎ গবেষণাগার-চেইন থাইরোকেয়ার টেকনোলজিস লিমিটেড এখনও পর্যন্ত ৭লক্ষ মানুষের পরীক্ষা করে জানিয়েছে ইতিমধ্যেই ভারতের প্রায় ৫৫% মানুষ সম্ভবত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও গোষ্ঠী প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে ওঠার ফলে অবস্থা মারাত্মক হবে না, মত বিশেষজ্ঞদের।
গোষ্ঠী প্রতিরোধেই মুশকিল আসান
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে, ভারতে করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে প্রায় ৬০-৭০% মানুষকে করোনায় আক্রান্ত হতে হবে। যদিও এই লক্ষ্যমাত্রার থেকে পিছিয়ে থাকলেও ভারতে যে করোনা বেশ ছড়িয়েছে এবং একইসাথে ভারতীয়দের মধ্যে গোষ্ঠী প্রতিরোধের আভাস দেখা যাচ্ছে, তা স্পষ্ট করেছেন কেন্দ্রের টিকাকরণ কৌশল দলের প্রধান বিনোদ কুমার পাল।
মডেল কেরলই এখন দুঃশ্চিন্তার কারণ ভারতের, জেনে নিন এর আসল কারণ