কেন্দ্রের নয়া শিক্ষা নীতি, দেশব্য়াপী হিন্দি হবে বাধ্যতামূলক! দাবি ওড়ালেন জাভড়েকর
নতুন শিক্ষা নীতিতে দেশব্যাপী অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন নস্যাত করলেন প্রকাশ জাভড়েকর।
এক সর্বভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে নিউ এডুকেশন পলিসি কমিটি অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত সারা দেশে হিন্দি ভাষা শিক্ষা বাধ্য়তামূলক করার সুপারিশ করেছে। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর অবশ্য এই প্রতিবেদনকে 'ক্ষতিকর ও বিভ্রান্তিমূলক' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কে কস্তুরিরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্য়ের নিউ এডুকেশন পলিসি কমিটি ভারতের পাঠক্রমকে 'ভারত-কেন্দ্রিক' এবং" 'বিজ্ঞানভিত্তিক' করে তুলতে চেয়েছেন। এর জন্য গত ৩১ ডিসেম্বর তারিখে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে তাঁরা একটি খসড়া প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।
সেই প্রস্তাবে দেশ-ব্যপী বিজ্ঞান শাখায় এক পাঠক্রম চালু করার পাশাপাশি অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত হিন্দি ভাষা-শিক্ষা বাধ্য়তামূলক করার সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া বেশ কিছু আদিবাসী ভাষা আছে যাদের গুলির লিপি নেই বা রোমান লিপিতে লেখা হয়। সেগুলিকে জন্য দেবনাগরী লিপিতে লেখার প্রস্তাবও থাকছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) কিন্তু প্রকাশ জাভড়েকর এই প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ওই রিপোর্টকে নস্যাত করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে জানান, নয়া শিক্ষা নীতির কমিটি কোনও ভাষাকেই বাধ্যতামূলক করার কোনও প্রস্তাব দেননি।
The Committee on New Education Policy in its draft report has not recommended making any language compulsory. This clarification is necessitated in the wake of mischievous and misleading report in a section of the media.@narendramodi @PMOIndia
— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar) January 10, 2019
গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়ার মতো ভারতের অনেক অহিন্দিভাষী রাজ্যেই হিন্দি ভাষা-শিক্ষা বাধ্য়তামূলক নয়। কাজেই নয়া শিক্ষা নীতিতে ভারতব্যপী হিন্দি শিক্ষা বাধ্য়তামূলক করা হলে তা নিয়ে আরও বড় সমস্যা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৬ আগস্ট দীর্ঘ আলোচনার শেষে এই খসড়াপত্র তৈরি করে কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও তাঁরা পরামর্শ নিয়েছেন। এছাড়া, জাভড়েকর ও ৭ রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তাঁরা আলোচনা করেছেন। তারপরই ওই খসড়া প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। তবে এই নিয়ে সরকারের পরের পদক্ষেপ কী হবে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।