'দল ও পরিবারে ভাঙন', অজিত পাওয়ারের শপথ গ্রহণের পর হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস শরদকন্যা সুপ্রিয়ার
গতরাতেই এনসিপি সভাপতি শরদ পাওয়ার কংগ্রেস ও শিবসেনার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন যে মহারাষ্ট্রে আগামী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। সেই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই সকালে অধিকাংশ মুম্বইবাসীর ঘুম ভাঙার আগে তাঁরই ভাইপো বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। আর এই ঘটনাতেই হতাশ হয়ে দল ও পরিবারের ভাঙনের কথা বলে দিলেন শরদপুত্রী সুপ্রিয়া সুলে। শপথ গ্রহণের কিছুক্ষণের মধ্যেই সুলে নিজের হোয়াটস্যাপ স্টেটাসে লেখেন, "দল ও পরিবারের বাঁটোয়ারা হল।"
অজিত পাওয়ারের দাবি
এদিকে সূত্রের খবর, এই বিশ্বাসঘাতকতার জন্য অজিত পাওয়ারকে দল থেকে বহিস্কার করতে পারে এনসিপি। তবে চিত্রটা পরিস্কার হবে এনসিপির বিধায়কদের বৈঠকের পর। কারণ ইতিমধ্যেই অজিত দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে এনসিপির ৫৪ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তবে সূত্রের খবর আদতে তাঁর সঙ্গে রয়েছে ২৯ জন বিধায়কের সমর্থন। এরই মাঝে সেই বিধায়কদের গোয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
|
শরদ পাওয়ার টুইট করেন
এরই মাঝে শরদ পাওয়ার টুইট করেন, "মহারাষ্ট্র সরকার গঠনে বিজেপিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নয়। আমরা জানাচ্ছি যে আমরা তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করিনি বা সমর্থন করি না।"
|
ঘটনা প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া
এদিকে এই বিষয়ে শিবসেনা অভিযোগ এনে বলেছে, অজিত পওয়ার পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন সবাইকে। একই অভিযোগ এনেছেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক। ৩০ তারিখের মধ্যে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ফড়ণবীশকে। নবাবের দাবি সেই সংখ্যা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হবে বিজেপি-অজিত জোট। যদিও বিজেপির দাবি, নির্দল বিধায়ক সহ তাদের সঙ্গে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। পাশাপাশি ফড়নবিশের শপথ গ্রহণের পর শিবসেনাকে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।