লোকসভার আগেই সরে দাঁড়ালেন রাহুল-জোটের হেভিওয়েট নেতা, মহাজোটের ‘অঙ্ক’ বদল
২০১৯ লোকসভা নির্বাচন লড়বেন না শারদ পাওয়ার! জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসের সুপ্রিমো এখনই নাম তুলে নিলেন ভোট লড়াই থেকে। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচন লড়বেন না শারদ পাওয়ার! জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসের সুপ্রিমো এখনই নাম তুলে নিলেন ভোট লড়াই থেকে। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। পুনে কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে দীর্ঘদিন লড়ছেন শারদ পাওয়ার। সম্প্রতি তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি প্রার্থী পদের দৌড়ে নেই।
প্রার্থী পদে নেই, ভোট-যুদ্ধে আছেন
দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠককে শারদ পাওয়ার বলেছেন, তাঁর নাম যেন ২০১৯ নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় বিবেচনা না করা হয়। তাঁর নাম যেন কেউ প্রস্তাবও না করেন। কারণ তিনি আর নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নামতে চান না। তবে তিনি ভোট-যুদ্ধ থেকে পিছু হটছেন না।
মোদী বিরোধিতায় অটল অবস্থান
শারদ পাওয়ার মোদী বিরোধী জোটের অন্যতম প্রধান মুখ। তিনি প্রার্থী না হলেও এবার মোদী বিরোধী জোটে স্বমহিমায় থাকবেন। প্রয়োজনীয় সমস্ত পরামর্শ তিনি দেবেন। জোট পরিচালনায়, যেখানে তাঁকে প্রয়োজন, তিনি সেই প্রয়োজন মেটাতে সঙ্গে সঙ্গে হাত বাড়িয়ে দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর দৌড়েও কি নেই
প্রার্থী পদ থেকে নাম প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে শারদ পাওয়ার কি বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর দৌড়েও তিনি নেই? তা এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে তিনি যে লোকসভা নির্বাচনে সাইড রোল প্লে করবেন, তার আভাস দিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে বিরোধী জোট জয়ী হলে, সমীকরণই বলবে, তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের আভাস
কংগ্রেসের সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে জোট গঠন করতে পারে এনসিপি। রাহুল গান্ধী চাইছেন জোট। জোট চাইছেন শারদ পাওয়ারও। তাই মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের হাত ধরে লোকসভার যুদ্ধ লড়বে এনসিপি, তা প্রায় চূড়ান্ত। বিজেপি-শিবসেনা জোট হচ্ছে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে কংগ্রেস ও এনসিপি।
কোন অঙ্কে জোট, তা-ই প্রশ্ন
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এনসিপি স্থির করেছে, তাদের জোটে যেতে কোনও আপত্তি নেই। তবে কংগ্রেসের কাছে অর্ধেক আসন দাবি করেছে এনসিপি। রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস কতটা নমনীয় হন, তার উপরই নির্ভর করে আছে জোটের ভবিষ্যৎ। তবে রাহুল মন থেকে চাইছেন জোট করতে। শারদ পাওয়ারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
২০১৪-য় কী অঙ্ক ছিল
৪৮ আসনের মহারাষ্ট্র লোকসভায় ২০১৪ সালে জোট গঠন করে লড়াই করেছিল কংগ্রেস ও এনসিপি। কংগ্রেস ২৭টি, এনসিপি ২১টি আসনে লড়াই করেছিল। এবার মওকা বুঝে ২৪-২৪ আসন দাবি করে বসেছেন শারদ পাওয়ার। কংগ্রেসের বর্তমান অবস্থার কথা ভেবেই শারদ পাওয়ার এই চাল দিয়েছেন।
বিজেপি-শিবসেনা জোট দোলাচলে
শারদ পাওয়ার মনে করেন, জোট নিয়ে বিজেপি ও শিবসেনা যা করছে, তা আসলে দুই দলেরই পুরনো খেলা। মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা। এনসিপি প্রধান মনে করছেন, বিজেপি-শিবসেনা জোট গঠন করেই লড়বে। যদিও এখনও মানভঞ্জন হয়নি শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের। এদিকে প্রতিদিনই শিবসেনা তোপ দেগে চলেছেন।