ফল বেরনোর পর তিনি কোন দিকে থাকবেন! স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক
রাজনীতি এমনই একটা বিষয় যেখানে স্থায়ী কোনও শত্রু কিংবা বন্ধু থাকে না। সেখানে থাকে শুধুমাত্র স্বার্থ। সপ্তম দফা ভোটের আগেই কার্যত নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
রাজনীতি এমনই একটা বিষয় যেখানে স্থায়ী কোনও শত্রু কিংবা বন্ধু থাকে না। সেখানে থাকে শুধুমাত্র স্বার্থ। সপ্তম দফা লোকসভা ভোটের আগেই কার্যত নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এখনও আর বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব নয়, যে পক্ষ ওড়িশার স্বার্থকে মর্যাদা দেবে সেই পক্ষকেই তিনি সমর্থন করবেন। প্রসঙ্গত, ওড়িশাকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ইস্যুকে বর্তমান শাসন বিজেডির পাশাপাশি নবীন পট্টনায়েকের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
'ওড়িশার স্বার্থ দেখবে যে, তাকেই সমর্থন'
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়, বিজেডির সহ সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী এসএন পাত্র বলেছেন, দল তাদের সরকারি নীতি বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখা থেকে সরে আসবে। যে পক্ষ ওড়িশাকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিতে রাজি হবে, তাদেরই বিজেডি সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এবার নির্বাচনের ফল বেরনোর পর বিজেডি জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করবে।
আগে এনডিএ-র সঙ্গী ছিল বিজেডি
২০০৯-এর নির্বাচনের আগে আসন সমঝোতা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে গেরুয়া দলকে সাম্প্রদায়িক বলে অভিযোগ করে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল বিজেডি। এনডিএ-র সঙ্গে দীর্ঘ কয়েকবছর জোট সম্পর্ক ছিল বিজেডির। ২০০০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তা স্থায়ী ছিল।
দিল্লিতে রাজনৈতিক তৎপরতা কংগ্রেসের
২৩ মে-র ফল ঘোষণার দিনকে লক্ষ্য করে তৎপর রাজনৈতিক মহল। সব লক্ষ্য চলে গিয়েছে সনিয়া গান্ধীর ২৩ মের বৈঠকের দিকে। সেই বৈঠকে একদিকে যেমন মায়াবতী ও অখিলেশ অন্যতম মুখ হতে চলেছেন, ঠিক তেমনই আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে, নবীন পট্টনায়েক এবং কে চন্দ্রশেখর রাও-এর সঙ্গে কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হচ্ছে নবীন পট্টনায়েক এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে। রয়েছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগনমোহন রেড্ডিও। কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এব্যাপারে।
নবীনের প্রশংসায় মোদী
সাইক্লোন ফণীকে যেভাবে মোকাবিলা করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, তার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের তরফে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন মোদী। ফণীর আঘাতের পরও ওড়িশাকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি করেছিলেন নবীন পট্টনায়েক। কারণ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন প্রত্যেক বছর রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা।