জাতীয় স্তরে এমএনপি ৬-৮ মাসেই? উঠেপড়ে লাগল কেন্দ্রীয় সরকার
এখন এমএনপি চালু আছে। কিন্তু সেটা একটি নির্দিষ্ট টেলিকম বৃত্তে। একে বলা হয় ইন্ট্রা-সার্কেল এমএনপি। যেমন ধরুন, আপনি কলকাতায় থাকেন। ভোডাফোনের নম্বর ব্যবহার করছেন। আপনার মনে হল, ভোডাফোনের পরিষেবা ভালো নয়। সেক্ষেত্রে আপনি মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে এয়ারটেলের পরিষেবা নিতে শুরু করলেন। অর্থাৎ কলকাতা টেলিকম বৃত্তে থেকে মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অন্য টেলিকম সংস্থার পরিষেবা নিতে পারছেন।
সারা দেশে ২২টি টেলিকম সার্কেল বা বৃত্ত রয়েছে। এক সার্কেল থেকে অন্য সার্কেলে গেলে আপনাকে এখন রোমিং চার্জ দিতে হয়। অর্থাৎ আপনার সিমকার্ড যদি কলকাতা সার্কেলের হয়, তা হলে চেন্নাই সার্কেলে গেলে আপনাকে রোমিং চার্জ দিতে হবে। জাতীয় স্তরে এমএনপি চালু হলে (ইন্টার-সার্কেল এমএনপি) এই রোমিং চার্জ উঠে যাবে। তখন লোকাল কলের ক্ষেত্রে যে চার্জ কাটা হয়, সেটাই কাটা হবে আপনি ফোন বা এসএমএস করলে। শুধু তাই নয়, আপনি দেশের যে প্রান্তেই বাসা বাঁধুন না কেন, আপনার নম্বর বদলের দরকার পড়বে না। অর্থাৎ কলকাতার নম্বর নিয়ে আপনি যদি চেন্নাই, মুম্বইতে বসবাস শুরু করেন, তা হলে ওই নম্বর আপনি রাখতে পারছেন। এটাই জাতীয় এমএনপি-র আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।
ইউপিএ সরকারের আমলে প্রথম ন্যাশনাল এমএনপি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে টেলিকম দফতর ট্রাই (টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)-কে নির্দেশ দিয়েছিল একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে। কিন্তু সরকারি দীর্ঘসূত্রিতায় ব্যাপারটা ঝুলে যায়। এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এসেই নতুন করে নির্দেশ দেয় ট্রাই-কে। মনে করা হচ্ছে, আগামী এক-দু'মাসে নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকারকে জানাতে পারবে ট্রাই। তার পর টেলিকম সংস্থাগুলিকে তাদের নেটওয়ার্কে কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন করতে নির্দেশ দেওয়া হবে। এটা করতে পাঁচ-ছয় মাস সময় লাগবে। তার পরই চালু হয়ে যাবে জাতীয় স্তরে এমএনপি। অর্থাৎ আশা করা যায়, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা ২০১৫ সালের প্রথমার্ধে এটি চালু করা সম্ভব হবে।