ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি ২০২০: 'মার্কস' নয় গুণ বিচার হবে পড়ুয়াদের! কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক পদক্ষেপ
বৈদেশিক একাধিক নামী প্রতিষ্ঠান এবার ভারতে নিজের ক্যাম্পাস গড়তে পারবে। এমনই সমস্ক বিপুল পরিবর্তন আনা পদক্ষেপ ভারতের সিক্ষা ক্ষেত্রে নেওয়া হল। মোদী সরকারের অধীনে থাকা শিক্ষা মন্ত্রক (আজই নাম পরিবর্তিত হয়েছে) এই সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ এর আওতায় নিয়েছে।
বহুশৃঙ্খলবিশিষ্ট শিক্ষা
শুধুমাত্র আর্টস কলেজ বা সায়েন্স কলেজ নয়, একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকবে বিভিন্ন বিষয়ধর্মীয় পড়াশোনা। এমনই বহুসংখ্যাক শাখা বিশিষ্ট বিভিন্ন শৃঙ্খলের পড়াশোনা যাতে একই ক্যাম্পাসে হয়, তার জন্য একক শাঙা যুক্ত প্রতিষ্ঠান কমিয়ে বহুশৃঙ্খলবিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর গুরুত্ব দেবে সরকার। উল্লেখ্য, ২০৩৫ সালের মধ্যে শিক্ষার্থীর ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা পঞ্চাশ শতাংশ করা হয়েছে।
নামকরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়
'বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ধার্য ' বা ' সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়' হিসাবে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিগণিত হয়েছে, তা আপাতত 'বিশ্ববিদ্যালয়' নাম পেতে চলেছে। যেখানে স্নাতক থেকে গবেষমামূলক পড়াশোনা হবে তাকেই এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বলে মানা করা হবে।
আইআইটি নিয়ে পদক্ষেপ
সরকার জানিয়েছে আই আইটির মতো প্রতিষ্ঠান কে আরও স্বনির্ভর হতে হবে। সেখানে বহুবিধ বিষয় পড়াশোনা ও কলাবিভাগের পড়ুয়ারা যাতে বিজ্ঞানে আগ্রহী হন , তার চেষ্টা করতে হবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৃত্যস সাহিত্য ভাষা, দর্শন, নাট্যশাস্ত্র, খেলার মতো বিষয় অন্তর্ভূক্ত হবে।
কোর্স ঘিরে ব্যবস্থা
স্নাতক স্তরে ৩ থেকে ৪ বছরের কোর্স থাকবে। এক্ষেত্রে বৃত্তিমূলক বা প্রশিক্ষণধর্মী পড়াশোনাতে বেশি জোর দেবে সরকার। স্নাতক পঠনে গবেষণার মাত্রা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও অল্প খরচে শিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে হিসাবে ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রকে গড়ে তুলতে চাইছে সরকার বলেও জানানো হয়েছে।
ভারতে বিদেশী পঠনপাঠন
ভারতে বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ক্যাম্প তৈরি করতে পারবে। পড়ুয়াদের মানসিক অবসাদ কাটাতে ক্যাম্পাসে কাউনসেলিং সেন্টার থাকবে। তফশিলি ও উপজাতি সহ পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য মেধার ভিত্তিতে সুবিধা দেওয়া হবে।
স্কুল ও উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত বার্তা
সমস্ত স্কুলে আগামী দশকে দফায় দফায় বৃত্তি পরীক্ষা হবে। এছাড়াও ন্যাশনাল এডুকেশন টেকনলজি ফোরাম গঠিত হবে। মাতৃভাষাই ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত বহাল থাকবে। স্কুলের পড়াশোনা বিষয়ভত্তিক ভাবধারার মধ্যে আবদ্ধ থাকবে। শুধুমাত্র নম্বর দিয়েই ছাড়া যাবে না। পড়ুয়াদের স্কিলের হিসাবে একটি সঠিক রিপোর্ট কার্ড বানাতে হবে।