মমতার বাড়বৃদ্ধিতে আপত্তি নেই মোদীর! স্ট্র্যাটেজি বদলে নয়া চ্যালেঞ্জারকে বানপ্রস্থের বার্তা
লোকসভার ভোটের আগে স্ট্র্যাটেজি বদল করে ফেললেন মোদী। ২০১৯-এ তাঁর প্রধান শত্রু কে, কার বাড়বাড়ন্তে আখেরে মোদীর লাভ তা নিরূপণ করে দিলেন তেলেঙ্গানার নির্বাচনী বৈঠক থেকে। তা থেকেই স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনও অঙ্কে মাত দিতে চাইচেন বিরোধীদের। মোট কথা জোট রাজনীতিতে বিরোধী ঐক্যকে মাত দেওয়ার সমস্ত প্ল্যান তৈরি।

কংগ্রেসে বনবাসে পাঠানোই লক্ষ্য
নির্বাচনী জনসভায় মোদী স্পষ্ট করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল-সহ আঞ্চলিক দলগুলির বাড়বাড়ন্তে তাঁর কোনও ক্ষতি নেই। তিনি চাইছেন কংগ্রেসকে বনবাসে পাঠাতে। তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ-মায়াবতী বা বামপন্থীরা ভোট পেলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কংগ্রেস যেন না কোনও ভোট পায়।

মমতায় সায় দিলেন মোদী
মোদী সাফ জানিয়েছেন, মমতা, অখিলেশ, মায়াবতী বা বামে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তাঁর আপত্তির জায়গা একটাই, তা হল কংগ্রেস। কংগ্রেসকে গোটা দেশ থেকে বানপ্রস্থে পাঠানোই তাঁর এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য। তবে তেলেঙ্গানায় গিয়ে কেসি আরের বিরুদ্ধে তিনি সুর চড়িয়েছেন ঠিকই, তার থেকেও অনেকগুণ তোপ দেগেছেন কংগ্রেসকে।

কংগ্রেস দুর্নীতির অধ্যাপক
কংগ্রেসকে নিশানা করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, চন্দ্রশেখর রাও যদি দুর্নীতির শিক্ষনবীশ হন, কংগ্রেস হল দুর্নীতির কলেজের অধ্যাপক। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এ রাজ্যে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে যাবেষ তখন টিডিপি তেলেঙ্গানার আরও ক্ষতি করবে বলে ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই ক্ষতি আটকাতেই হবে। তা সম্ভব কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখলে।
[আরও পড়ুন: বাংলায় গেরুয়া রথ ছুটবে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুরে, বাঙালির মন পেতে নয়া পন্থা বিজেপির]

কংগ্রেস থেকে মমতাদের দূরে রাখা লক্ষ্য
বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য কংগ্রেস থেকে আঞ্চলিক দলগুলিকে দূরে রাখা। কেননা আঞ্চলিক দলগুলো কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালে বিপদ বাড়বে বিজেপির। বিজেপির আরও একটা কৌশল কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে যদি তৃতীয় ফ্র্ন্ট গড়ে তোলা যায়, তবে ভোট ভাগাভাগির ফায়দা তোলা যাবে। সেই অঙ্ক মেলানোর চেষ্টা করছেন মোদী। আর তাই মমতার বাড়বাড়ন্তে তাঁর আপত্তি নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন:উত্তরপ্রদেশে ১০টি রামলীলা ময়দান তৈরির সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের ]