কংগ্রেস গরীবদের ধোকা দিয়ে ভোটে জিতেছে, জেনে নিন কর্ণাটকে প্রচারে আর কী বললেন মোদী কর্ণাটকে
কর্ণাটকে জারি প্রচার যুদ্ধ। শুক্রবারই দু'দিনের সফর সেরে রাজধানীতে ফিরেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর শনিবার এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এ রাজ্যে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কর্ণাটকে জারি প্রচার যুদ্ধ। শুক্রবারই দু'দিনের সফর সেরে রাজধানীতে ফিরেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর শনিবার এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এ রাজ্যে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সারাদিনে মোট চারটি মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি। প্রথম র্যালিটি হয়েছে তুমকুরুতে। এরপর মিছিল গাদাগ, শিভামোগ্গা এবং ম্যাঙ্গলুরুতে।
তুমাকুরুর
মিছিল
শেষে
সমাবেশে
বলতে
উঠে
মোদী
ফের
কংগ্রেসকে
কৃষক
বিরোধী,
গরীব
বিরোধী
বলে
বিদ্ধ
করেছেন।
কংগ্রেস-জেডি(এস)-এর
গোপন
আঁতাত
আছে
বলে
অভিযোগ
করেছেন।
একই
সঙ্গে
নিজস্ব
স্টাইলে
স্থানীয়
আবেগকে
উসকানোর
চেষ্টাও
ছিল।
তিনি
বলেন,
'তুমাকুরু
অনেক
মহান
ব্যক্তিত্বের
জন্মভূমি।
প্রধানমন্ত্রী
হওয়ার
পরই
আমি
তুমাকুরুতে
এসেছিলাম।
এখানকার
শ্রী
সিদ্ধগঙ্গা
মঠের
প্রধান
শ্রী
শ্রী
শ্রী
শিবকুমার
স্বামীজীর
আশির্বাদ
নিয়ে
গিয়েছিলাম।'
একথায়
উপস্থিত
জনতার
মধ্যে
প্রবল
উচ্ছাস
দেখা
যায়।
একটু
থেমে
প্রধানমন্ত্রী
বলেন,
'যুগে
যুগে
মুনি,
ঋষি,
মঠ
আমাদের
দেশের
উন্নয়নে
বড়
ভূমিকা
নিয়েছে।'
এরপরই
তিনি
সরাসরি
কংগ্রেসকে
আক্রমণের
পথে
চলে
যান।
দাবি
করেন
কংগ্রেস
চিরকাল
গরীবদের
বোকা
বানিয়ে
এসেছে।
তিনি
বলেন.
'সেই
ইন্দিরা
গান্ধীর
সময়
থেকেই
এটা
চলে
আসছে।
গরীদদের
বোকা
বানিয়েই
তারা
একের
পর
এক
নির্বাচন
জিতেছে।'
তাঁর
দাবি
ভোট
আসলে
তবেই
কংগ্রেস
নেতাদের
গরীবদের
জন্য
দরদ
উথলে
পড়ে।
স্লোগান
তোলা,
গরিবী
হঠাও।
সেসময়
প্রতিশ্রুতির
বন্যা
বয়ে
যায়।
তারপর
পাঁচ
বছর
আর
তাদের
দেখা
মেলে
না।
আবার
পরের
ভোট
এলে
একই
ঘটনার
পুনরাবৃত্তি
হয়।
মোদীর
মতে,
'কংগ্রেস
এখন
এই
গরীব-গরীব
কাঁদুনি
গাওয়াটা
ছেড়ে
গিয়েছে।
কারণ
ভারতের
জনগন
একজন
গরীব
ঘরেই
ছেলেকেই
প্রধানমন্ত্রীর
চেয়ারে
বসিয়েছে।'
এরফলে
কংগ্রেসের
ধোকাবাজি
ফাঁস
হয়ে
গিয়েছে।
উল্লেখ্য
গত
প্রচার
সফরে
তিনি
রাহুল
গান্ধীকে
'নামদার'
এবং
নিজেকে
'কামদার'
বলে
উল্লেখ
করেছিলেন।
এদিনও
কটাক্ষের
সেই
সুরটি
অক্ষত
রাখেন।
সারাদেশের
মতো
কৃষকদের
ঋণ
মেটাবার
সঙ্কট
রয়েছে
কর্ণাটক
রাজ্যেও
দগদগে।
বিজেপি
তার
নির্বাচনী
ইস্তেহারে
যাবতীয়
ঋণ
মুকুবের
আশ্বাস
দিয়েছে।
নরেন্দ্র
মোদী
তাঁর
বক্তৃতায়
কৃষক
সমস্যার
জন্য়
কংগ্রেসকেই
দায়ী
করেন।
তিনি
বলেন,
'কৃষকদের
এখন
যেসব
সমস্যার
মুখোমুখি
হতে
হচ্ছে
তার
সবটাই
আগের
কংগ্রেসের
সরকারের
ভুল
নীতির
জন্য।'
আর
এখন
সেই
কমগ্রেসই
মিথ্য়া
প্রতিশ্রুতি
দিয়ে
কৃষকদের
ভোলাতে
চাইছে
বলে
তিনি
অভিযোগ
করেন।
বলেন,
'কংগ্রেস
মিথ্যা
বলছে,
ফাঁপা
প্রতিশ্রুতি
দিচ্ছে।
সবাই
জানে
কংগ্রেসের
কৃষিক্ষেত্রকে
কিভাবে
অবহেলা
করেছে।
আমার
আফশোষ
হয়,
তারা
যদি
কৃষকদের
কল্যাণের
কথা
আরেকটু
গুরুত্ব
দিয়ে
ভাবত।'
উঠে
এসেছে
কর্ণাটক
নির্বাচনের
'এক্স
ফ্য়াক্টর'
জেডি(এস)-র
কথাও।
সমীক্ষায়
আভাস
মিলেছিল
কর্ণাটকে
সরকার
গড়তে
গেলে,
কংগ্রেস
হোক
কি
বিজেপি,
জেডি(এস)-কে
লাগবেই।
মোদী
অভিযোগ
করেন,
জেডি(এস)
ওপরে
ওপরে
কংগ্রেসের
বিরোধিতা
করলেও
তলায়
তলায়
দুজনের
মধ্যে
সমঝোতা
রয়েছে।
তিনি
বলেন,
'প্রাক্তন
প্রধানমন্ত্রী
দেবগৌড়াজি
২০১৪
সালের
ভোটের
প্রচারে
আমার
বিরুদ্ধে
অনেক
খারাপ
কথা
বলেছিলেন,
অনেক
ব্যক্তিগত
আক্রমণ
করেছিলেন।
নির্বাচনের
পর
আমি
বলেছিলাম
আপনি
যা
যা
বলেছেন,
ভুলে
যান।
আমি
তো
ভুলে
গিয়েছি।
এখন,
জেডি
(এস)
কর্ণাটকে
কংগ্রেসকে
বাঁচানোর
চেষ্টা
করছে।
কর্ণাটকের
জনগণকে
জানানো
উচিত
কংগ্রেস-জেডি
(এস)
জোটের
ব্যাপারে।
কর্ণাটকের
কয়েকটা
ঝায়গায়
তারা
লড়াই
করার
ভান
করে।
কিন্তু
বেঙ্গালুরুতে
আসলে
কি
দেখা
যায়?
কংগ্রেসের
মেয়রকে
সমর্থন
দিচ্ছে
জেডি
(এস)।
বলতে
হবে
আপনাদের
দুই
দলের
মধ্যে
কি
চুক্তি
আছে?
তবে
যাই
থাক
বিজেপিই
রাজ্যের
ক্ষমতায়
আসছে।
এরপর
আবার
স্থানীয়
সমস্যায়
ফিরে
গিয়ে
বক্তৃতা
শেষ
করেন
মোদী।
বলেন,
'কংগ্রেস
সরকারের
তো
কৃষকদের
নিয়ে
কোন
ভাবনাই
নেই।
কেন
তুমাকুরুর
মানুষ
হেমবতী
নদীর
জল
পাবেন
না?
প্রশ্ন
ছুড়ে
দেন
তিনি।