এবার মিশন ত্রিপুরা! গুজরাত-হিমাচলের ফলাফলের পর বিজেপির পালে বইছে হাওয়া
রাহুল-ঝড় রুখে গুজরাটে প্রত্যাবর্তন হয়েছে বিজেপির। আর হিমাচলে পরিবর্তন হয়েছে। সেই হাওয়ায় ভর করে ত্রিপুরায় বামফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় বিজেপি।
এবার নিশানা উত্তর-পূর্বের ত্রিপুরা। দুই রাজ্যে লক্ষ্যপূরণের পর ত্রিপুরায় বিজেপির পালে হাওয়া লাগতে পারে বলেই মনে করছে বিজেপির নেতৃত্ব। রাহুল-ঝড় রুখে গুজরাটে প্রত্যাবর্তন হয়েছে বিজেপির। আর হিমাচলে পরিবর্তন হয়েছে। সেই হাওয়ায় ভর করে ত্রিপুরায় বামফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় বিজেপি। সোমবার বিজেপির জয়লাভের পরই ত্রিপুরায় আওয়াজ ওঠে- 'এবার পরিবরর্তন হবে ত্রিপুরায়।'
[আরও পড়ুন:মোদীর নেক্সট টার্গেট বাংলা, কোন পথে হবে মমতা-বিদায়! ছক তৈরি বিজেপির]
কিন্তু যে ত্রিপুরায় একজন বিধায়কও ছিল না , সেই ত্রিপুরায় বিজেপির পক্ষে কি সম্ভব পরিবর্তন আনা? কোন অঙ্কের উপর ভিত্তি করে জয়ের লক্ষ্য স্থির করছে বিজেপি? ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, 'দেশে মোদী হাওয়া বইছে। সেই হাওয়া থামাবে কার সাধ্যি। আর ত্রিপুরায় দীর্ঘদিনের বামফ্রন্ট সরকারের পতন চায় মানুষ। সেই লক্ষ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস ভেঙে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিধায়করা। কংগ্রেসও ভেঙে গিয়েছে।'
এক লাফে ত্রিপুরা বিধানসভায় এখন প্রধান বিরোধী দলও হয়েছে বিজেপি। ফলে বিজেপির পালে হাওয়া লাগতে দেরি হবে না। শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বও এবার নজর দিচ্ছেন উত্তর-পূর্ব ভারতে। মোদী-ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে সিপিএম, এই বিশ্বাস রয়েছে ত্রিপুরা বিজেপি নেতৃত্বের।
বিজেপির দাবি, ত্রিপুরায় এবার নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে তারা। বিজেপি ত্রিপুরায় জনতা জনার্দনের সরকার গড়বে। কারণ, বর্তমান সরকারের উপর ত্রিপুরার মানুষ ক্ষুব্ধ। সেই কারণেই বিকল্প খুঁজছেন ত্রিপুরার মানুষ। আর ত্রিপুরার মানুষকে সেই বিকল্প দিতে পারে একমাত্র বিজেপি।
ত্রিপুরায় বিরোধী কংগ্রেস এখন ভেঙে গিয়েছে। ত্রিপুরা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায়বর্মন-সহ ছ-জন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁরা আবার তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে বিজেপির শক্তি এখানে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সিপিএমের একটা অংশও ভেঙে বিজেপিতে আসতে চাইছে। ফলে ত্রিপুরায় বিজেপির জয় এখন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজ্য নেতৃত্ব।
আগামী বছরেই ত্রিপুরায় নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। গুজরাত-রক্ষার পর এখন অনেকটাই চাপমুক্ত নরেন্দ্র মোদী। তিনি এবার পুরোপুরিভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতে নজর দিতে পারবে বলে অভিমত বিজেপি নেতৃত্বের। ত্রিপুরার পাশাপাশি বিজেপির নজরে এখন বাংলা-ওড়িশাও।