সেকেন্ড ওয়েভ থেকে শিক্ষা নিয়ে উদ্যোগ মোদী সরকারের! দেশের প্রত্যেকটি জেলাতেই এবার অক্সিজেন প্লান্ট
মাসখানেক আগের ঘটনা! করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে ভয়ঙ্কর ভাবে গোটা দেশে মৃত্যু দেখেছিল সাধারণ মানুষ। একটু অক্সিজেনের অভাবে একের পর এক মৃত্যু দেখতে হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল পরিকাঠামো নিয়ে।
মাসখানেক আগের ঘটনা! করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে ভয়ঙ্কর ভাবে গোটা দেশে মৃত্যু দেখেছিল সাধারণ মানুষ। একটু অক্সিজেনের অভাবে একের পর এক মৃত্যু দেখতে হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল পরিকাঠামো নিয়ে।
কেন অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করা হয়নি দেশে সে বিষয়ে কেন্দ্রকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলিও।
এই অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা দেশেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেগুলির বেশির ভাগেরই কাজ শেষের মুখে। তবে আজ বৃহস্পতিবার ৩৫টি নতুন PSA অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
এগুলির প্রত্যেকটি PM CARES ফান্ডের টাকাতে তৈরি হয়েছে। উত্তরাখন্ডের ঋষিকেশ থেকে এই অক্সিজেন প্লান্টগুলির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এই প্লান্টগুলির দেশের মানুষের জন্যে উৎসর্গ করা হল বলেও মন্তব্য তাঁর।
করোনা অবস্থায় টলমল হয়ে যায় দেশের অর্থনীতি। সেই সময়ে একাংশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে। PM CARES ফান্ড খোলা হয়। আর এই ফান্ডের টাকাতেই ৩৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্যে অক্সিজেন প্লান্টগুলি তৈরি করা হচ্ছে।
এই ফান্ডের টাকাতে বাংলাতেও তৈরি করা হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট। জানা গিয়েছে, গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত ১২২৪টি PSA oxygen plant-কে বানাতে সাহায্য করেছে PM CARES। ইতিমধ্যে ১১১০টি অক্সিজেন প্লান্ট কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। যে গুলির মাধ্যমে এই মুহূর্তে প্রত্যেকদিন ১৭৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে। ের ফলে বিশাল একটা চাহিদা মিটছে বলে দাবি। তবে দেশের প্রত্যেক জেলাতে এই অক্সিজেন প্লান্ট হবে বলে জানানো হয়েছে মোদী সরকারের তরফে।
এই সমস্ত অক্সিজেন প্লান্টগুলি উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী তাঁর টুইটারে লেখেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিকাঠামো এই অক্সিজেন প্লান্টগুলি। ৭ তারিখ উত্তরাখন্ডে থাকবেন বলেও ঘোষণা করেন তিনি। আর সেখান থেকেই বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত রাজ্যে তৈরি হওয়া ৩৫টি অক্সিজেন প্লান্ট উদ্বোধনের কথা জানান তিনি। বিপুল সংখ্যক মানুষের সুবিধার কথা ভেবে গুরুত্বপূর্ণ এই পরিকাঠামোগুলি তৈরি করা হল।
সেকেন্ড ওয়েভের মধ্যেই থার্ড ওয়েভের একটা আতঙ্ক রয়েছে দেশে। যদিও বিজ্ঞানীদের একটা অংশ বলছে, ভারতে করোনা সংক্রমণ শেষের দিকে। তবে সবদিক থেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখছে ভারত।
বিশেষ করে দ্বিতীয় ওয়েভ থেকে শিক্ষা নিয়েই একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যার মধ্যে অন্যতম দ্রুত এই অক্সিজেন প্লান্টগুলি তৈরি করা। উল্লেখ্য, এই অক্সিজেন প্লান্টগুলিকে ঠিক মতো পরিচর্চা এবং দেখভাল করতে প্রায় গটা দেশে ৭ হাজার মানুষকে ট্রেনিং দেওয়া হয়।