দিল্লিতে ড্রাগ-চক্র, এনসিবির হাতে চার মেধাবী পড়ুয়া, জেনে নিন পরিচয়
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী অভিযোন নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর। ঘটনায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্র ধরা পড়েছে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী অভিযোন নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর। ঘটনায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্র ধরা পড়েছে। নতুন বছর উদযাপনের আগে এই তল্লাশি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের ক্যাম্পাসে ড্রাগ বিক্রির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তবে এর বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান নেমেছে নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। একইসঙ্গে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নেও অভিযানে নেমেছে এনসিবি। এমনই এক অভিযানে ধরা পড়েছে দিল্লি ও জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্র।
এনসিবির তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে, ১.১৪ কেজি চরস এবং তিনটি এলএসডি ব্লট পেপার। নতুন বছর উদযাপনের জন্য রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে এইসব নেশার বস্তু পাঠানোর অপেক্ষায় ছিল বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।
২৮ ডিসেম্বর সূত্র মারফত খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনসিবি। গ্রেফতার করা হয় দিল্লি ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রকে। উদ্ধার হওয়া এলএসডি ব্লট পেপারগুলি জয়পুর পাঠানোর সম্ভাবনার কথাও জেনেছেন তদন্তকারীরা।
নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবসট্যান্সেস অ্যাক্টের অধীনে গ্রেফতার হওয়া চার ছাত্র হল, অনিরুদ্ধ মাথুর, তেনজিং ফুচং, শ্যাম মল্লিক এবং গৌরব কুমার।
এনসিবির দাবি, ইকনোমিক্স অনার্সের ছাত্র গৌরব কুমার ড্রাগ বিক্রিদলের প্রধান। সেইসঙ্গে সে ড্রাগের নেশাও করে। অন্যদিকে, শ্যাম মল্লিক এমএ ফিলোজফির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অনিরুদ্ধ মাথুর এমবিএ-র ছাত্র। তেনজিং ফুচং পদার্থবিদ্যায় এমএসসির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (উত্তর) এসকে ঝা জানিয়েছেন, ধৃত চার ছাত্রই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ড্রাগের রমরমার কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
ধৃত চার ছাত্রকে জেরা করে, রাজধানী দিল্লি এবং সেখানকার শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে ড্রাগ ব্যবসার অনেক খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতরা জানিয়েছে, ড্রাগ আনা হত হিমাচল প্রদেশ থেকে। এমনটাই দাবি করেছেন এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (উত্তর) এসকে ঝা।