চেতন চৌহানের মৃত্যু ঘিরে চরম রহস্য! শিবসেনার তরফে উঠল সিবিআই তদন্তের দাবি
কয়েকদিন আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ওপেনার চেতন চৌহান৷ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ জুলাই থেকে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পিজিআই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি৷ পরে স্থানান্তরিত করা হয় গুরুগাঁওয়ের মেদান্তা হাসপাতালে। সেখানেই ১৬ অগাস্ট তাঁর মৃত্যু হয়।
কোন পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল চেতনকে?
কোন পরিস্থিতিতে লখনউয়ের সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁকে গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখার দাবি করেছে শিবসেনা৷ শিবসেনার একটি প্রতিনিধি দল উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেলকে এই বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দেয়৷
করোনা ভাইরাসের শিকার হয়ে মারা যান
৭৩ বছরের চেতন চৌহান অগাস্টের ১৬ তারিখে করোনা ভাইরাসের শিকার হয়ে মারা যান৷ ১২ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হন তিনি৷ করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই তাঁকে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পিজিআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ পরে তাঁকে গুরুগাঁওয়ের মেদান্তা হাসপাতালে স্থানন্তরিত করা হয়৷ ১৪ অগাস্ট রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে৷ সেখানে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ৩৬ ঘণ্টা৷ আর ১৬ অগাস্ট সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷
চিকিৎসক ব্যবহারে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন চেতন
শিবসেনা নিজেদের স্মারকলিপিতে জানতে চেয়েছে, 'কোন পরিস্থিতিতে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পিজিআই হাসপাতাল থেকে তাঁকে গুরুগ্রামের মেদান্তা হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হল৷ হাসাপাতালের সব চিকিৎসক ও কর্মীদের ব্যবহারে তিনি একেবারে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন৷'
চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি
শিবসেনার আরও অভিযোগ, 'সঞ্জয় গান্ধী পিজিআই-এর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারে তিনি মনোক্ষুন্ন হয়েছিলেন৷ কিন্তু এখনও অবধি সেইসব চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি৷ এই পুরো ঘটনা ঘটে যায় আর সরকার নিজের মতো ঘুমোচ্ছে৷ এই নিয়ে কোভিড ১৯ -র শিকার হয়ে ২ জন মন্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে৷' অগাস্টের ২ তারিখ রাজ্যের প্রযুক্তি শিক্ষা মন্ত্রী কমলা রাণী বরুণ করোনা পজিটিভ হওয়ার পর মারা যান৷
চেতন চৌহানের কেরিয়ার
১২ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে দেশের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলেছেন৷ করেছেন ২ হাজার ৮৪ রান৷ ১৬টি অর্ধশতরান করেছেন৷ অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি৷ এছাড়া দিল্লি এবং জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ও প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব সামলেছেন৷ ১৯৮১ সালে অর্জুন পুরস্কার পান৷
উত্তরপ্রদেশের আমরোহা থেকে দু'বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ একবার ১৯৯১ সালে ও দ্বিতীয়বার ১৯৯৮ সালে৷ বর্তমানে তিনি উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন৷
জল্পনা নয়, সত্যি মারা গিয়েছেন কিম জং উন! উত্তর কোরিয়ার গদিতে ইয়ো জং