পাঁচ সপ্তাহ পর মুম্বইতে দৈনিক সংক্রমণ কমল, কিছুটা স্বস্তি মহারাষ্ট্র সরকারের
পাঁচ সপ্তাহ পর মুম্বইতে দৈনিক সংক্রমণ কমল
মুম্বইতে কমল সংক্রমণ সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২,৬২৪ জন। যা গত ৫ সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই কম। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বাণিজ্যনগরীতে রোজ ৩৮,০০০ থেকে ৫০,০০০ টেস্ট হয়ে থাকে।
মুম্বইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এই নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩,৩৭২–এ। অন্যদিকে সোমবার মুম্বইয়ে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬,৫৮,৬২১। প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ মুম্বইতে নতুন করোনা ভাইরাস কেস ধরা পড়েছে ২,৩৭৭টি। এরপরই প্রতিদিন হাজার করে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ মহারাষ্ট্র ও গোটা দেশে তীব্র সংক্রমণ ছড়িয়েছে, যার ফলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গতমাসে দেশের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর ছিল মুম্বই।
গত মাসে মহারাষ্ট্রে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিল ৬০ হাজার জন। সোমবার রাজ্যে নতুন কেসের সংখ্যা ৪৮,৬২১টি। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৯,৫০০ জন রোগী। মহারাষ্ট্রে সুস্থতার হার ৮৪.৭ শতাংশ অন্যদিকে মৃত্যুর হার ১.৪৯ শতাংশ। করোনা পজিটিভ হার ১৭.১২ শতাংশ। তবে মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। একদিনে এ রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৬৭ জনের। ৭,৭১৮টি কেস ও ১০টি মৃত্যু একদিনে, এই নিয়ে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর পুনে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নাগপুর, যেখানে ৫,৩৫০টি কেস ও ১৩টি মৃত্যু হয়েছে একদিনে। বর্তমানে ৩৯,০৮,৪৯১ জন বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে এবং প্রাতিষ্ঠিনিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২৮,৫৯৩ জন।
লাগাতার আপত্তিজনক তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ, কঙ্গনার মন কী বাতের রাস্তা বন্ধ করল টুইটার
মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই সপ্তাহান্তে লকডাউন ও লকডাউনের মতো নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কোভিড দমনে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে গত সপ্তাহেই জানিয়েছেন যে কোভিড যদি দমন না করা হয় তবে রাজ্য নয় থেকে দশ লক্ষ সক্রিয় কেসের সাক্ষী থাকবে। সম্পূর্ণ লকডাউন ছাড়া আর কোনও গতি থাকবে না, সেদিকে হাঁটতে চাইছে না সরকার বলেও জানান তিনি।