লালুর মধ্যস্থতায় বিএসপির সঙ্গে জোটে প্রস্তুত মুলায়ম, প্রস্তাব নস্যাৎ মায়াবতীর
সম্প্রতি, লালুপ্রসাদ যাদব প্রস্তাব দিয়েছিসেন যে উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারাতে গেলে মুলায়ম সিং যাদব এবং মায়াবতীর একজোট হয়ে নির্বাচনে লড়াই করা উচিত। যেভাবে বিহারে বিজেপিকে ঠেকাতে পুরনো শক্রুতা ভুলে একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন লালু ও নীতিশ। সেই প্রস্তাবেই আংশিক সম্মতি জানিয়ে শর্তসাপেক্ষে বিএসপির সঙ্গে জোটে রাজি সেকথা ঘোষণা করলেন মুলায়ম।
রাজনৈতিক এই সমীকরণের অঙ্কের কটাক্ষ করেছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী এসপি-বিএসপির এই সন্ধিকে 'চোরে চোরে মাসতুতো ভাই' রূপে ব্যাখ্যা করেছেন।
লালু-মুলায়ম দুই যাদবই শুধু সুবিধাবাদের রাজনীতি বোঝেন, আত্মসম্মান নেই: মায়াবতী
লালুর প্রস্তাব মেনে 'সাম্প্রদায়িক শক্তি' প্রতিরোধে বিএসপি সঙ্গে জোট বাঁধতে এসপি রাজি থাকলেও এই প্রস্তাবে একেবারেই রাজি নন মায়াবতী। জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িক ওই শক্তির সঙ্গেই এসপি-র আঁতাতের অভিযোগ তুললেন বিএসপি নেত্রী। নীতিশ-লালুর জোটও যে ভাল চোখে দেখছেন না স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন মায়াবতী। তিনি বলেন, "ওই দুই নেতার জন্য আত্মসম্মানের থেকে ক্ষমতার লোভ বড় হতে পারে, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ক্ষমতার থেকে অনেক বেশী দামি আত্মসম্মান।"
উত্তরপ্রদেশের যে আইনশৃঙ্খলা অবনতি হয়েছে তা অজানা নয় কারণ। সমাজবাদী পার্টির কুশাসনের জেরেই রাজ্যের এই হাল বলে দাবি মায়াবতীর। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষও তা বুঝতে পারছেন। আগামী নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে এবং এসপিকে গদিচ্যুত করে বিএসপিকে ক্ষমতায় আনবে বলেও দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে মুলায়ম সিং যাদব প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত রয়েছে মুলায়ম সিং যাদবের। উনি শুধুমাত্র ক্ষমতার স্বাদ বোঝেন। উনি শুধুই সুবিধাবাদের রাজনীতি বোঝেন।