অবশেষে ভরা সংসদে ক্ষমা চাইলেন আজম খান
কোনও মতেই ক্ষমা চাইবেন না। তেজ দেখিয়েই সংসদ কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সপা সাংসদ আজম খান। সেদিন স্পিকারের আসনে থাকা রমা দেবীকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করে লোকসভায় শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।
কোনও মতেই ক্ষমা চাইবেন না। তেজ দেখিয়েই সংসদ কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সপা সাংসদ আজম খান। সেদিন স্পিকারের আসনে থাকা রমা দেবীকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করে লোকসভায় শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।
প্রবল সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়েও দাপটের সঙ্গে দাবি করেছিলেন কোনও অশালীন মন্তব্য করেননি তিনি। সকলে তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করছেন। তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সংসদে ক্ষমা চাওয়ার থেকে পদত্যাগ করতেই বেশি পছন্দ করবেন বলে দর্পের সঙ্গে ঘোষণা করে সংসদ কক্ষ ত্যাগ করেছিলেন আজম খান।
তার একদিনের মধ্যেই মাথা নোয়াতে বাধ্য হলেন তিনি। সোমবার ভরা সংসদে সর্বসমক্ষেই নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন সমাজবাদী পার্টির এই বিতর্কিত সাংসদ আজম খান। অথচ গত বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেছিলেন মরে গেলেও রমা দেবীর কাছে ক্ষমা চাইবেন না।
এই অনড় দাবিতে পাশে পেয়েছিলেন আরেক সপা সাংসদ অখিলেশ যাদবকে। এমনকী বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাজিও আজম খানের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন মা যখন সন্তানকে চুমু খান তখন তার মধ্যে কোনও যৌনতা থাকে না। তাই আজম খানের মন্তব্যেও অশালীনতার কিছু নেই। বরং তিনি সংসদে বলেইছিলেন রমাদেবী তাঁর বোনের মতো।
তারপরেও অবশ্যে বিজেপি রেয়াত করেনি। স্পিকার ওম বিড়লা সরাসরি আজম খানকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানিয়েছিলেন। নইলে তাঁকে সাসপেন্ড করার মতো চরম শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল। যাই হোক সেই চরম শাস্তি আর দিতে হয়নি, তার আগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন আজম খান। রমা দেবী এবং স্পিকারের উপস্থিতিতেই ক্ষমা চেয়ে নেন আজম খান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অখিলেশ যাদবও।