জেএনইউ কাণ্ডে গ্রেফতারি শূন্য, সংসদে বলল কেন্দ্র! বছর ঘুরলেও কেন দুষ্কৃতীদের নাগাল পাচ্ছে পুলিশ?
জেএনইউ কাণ্ডে গ্রেফতারি শূন্য, সংসদে বলল কেন্দ্র! বছর ঘুরলেও কেন দুস্কৃতিদের নাগাল পাচ্ছে পুলিশ?
গত বছরের শুরুতেই দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) ছাত্রীদের হস্টেলে হামলার ঘটনায় সাড়া পড়ে যায় গোটা দেশ জুড়ে। দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলে গোটা ক্যাম্পাসেও। অভিযোগ কাপড়ে মুখ ঢেকে জেএনইউ-র ক্যাম্পাস ও হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। আর তারপরেই গোটা দেশজুড়েই শুরু হয় ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন। যদিও এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
সংসদে কি বলছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
মঙ্গলবার সংসদে এই তথ্য জানানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। এই প্রসঙ্গে সওয়াল জবাব চলালর সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় স্পষ্টতই জানান ২০২০ সালের জানুয়ারির হিংসার ঘটনায় দিল্লি পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিনটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। তবে দেড় বছর পর এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে পড়ুয়াদের অভিযোগ, হামলার পিছনে রয়েছে শাসক দল বিজেপির শাখা সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি।
প্রায় ১৯ জনের নামে এফআইআর
অভিযোগ, এবিভিপি-র দুস্কৃতিরাই কাপড়ে মুখ ঢেকে বেধড়ক মারধর করে জেএনইউ-র ছাত্র ও শিক্ষকদের। মাথা ফাটে সেই সময়ের জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের। যদিও সেই সময় আবার প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে জেএনইউ কাণ্ডে নাম জড়ায় ঐশী ঘোষের। মূল অভিযুক্তদের বদলে ঘুরিয়ে তাঁর নামে দায়ের হয় এফআইআর। সেই সময় মোট ১৯ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয় বলে শোনা যায়। যদিও একাধিক তথ্য প্রমাণ থাকায় প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশি তদন্ত। যা নিয়ে সময় বিস্তর জলঘোলাও হয়।
কি করে পার পাচ্ছে দুস্কৃতীরা?
এমনকী পুলিশেক বিরুদ্ধে সরাসরি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে তোলে জেএনইউ বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। যদি ওই ঘটনার পর দেড় বছরেরও বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও বিশ বাঁও জলে ডুবে রয়েছে আসল ঘটনা। সামনে আসেনি আসল রহস্য। দোষীদের খুঁজে বের করা তো দূর এখনও পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতারই করতে পারেনি পুলিশ। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে দেশের এরকম এক স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েও কিকরে পার পেয়ে যায় দুস্কৃতীরা?
দোষ ঢাকতে মরিয়া কেন্দ্র
অন্যদিকে নিজেদের দোষ ঢাকতে মরিয়া কেন্দ্র। সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যথেষ্ট গতিতেই এগোচ্ছে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া। সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া, ফুটেজ সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াও অনেকটাই এগিয়েছে। এমনকী গোটা ঘটনার পিছনে থাকা দোষীদের ধরতে অনেকটাই এগিয়ে গিয়ছে পুলিশ। তবে এখনো কাউকে কেন গ্রেফতার করা গেল না সেই উত্তর কারও কাছেই নেই।
পেগাসাস ইস্যুতে নীতীশ কাঁটায় বিদ্ধ বিজেপি, শরিকি বিরোধের নেপথ্যে লুকিয়ে কোন রহস্য?