মোরবির দুর্ঘটনা গুজরাত নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে! কী বলছে সমীক্ষা
মোরবির দুর্ঘটনা গুজরাত নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে! কী বলছে সমীক্ষা
গুজরাতে ইতিমধ্যে ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। গুজরাতে ১ ও ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন। ৮ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা। গুজরাতের নির্বাচনের দিকে দেশ তাকিয়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাত। মূলত কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে গুজরাতে নির্বাচন হয়। চলতি বছর আপ জোর কদমে প্রচার শুরু করেছে। আপের তরফে দাবি করা হচ্ছে, চলতি বছরের নির্বাচনে তাঁরা জয়ী হবে। কিন্তু রাজ্যের মানুষ কী চাইছে। ভোটের ঠিক একমাস আগে লোকনীতি-সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিজ (সিএসডিএস) সমীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে। কোন রাজনৈতিক দলকে ভরসা করছে গুজরাতের মানুষ, কী বলছে সমীক্ষার ফল।
সমীক্ষা এগিয়ে কোন রাজনৈতিক দল
১৯৯৫ সালে বিজেপি গুজরাতে প্রথমবারের জন্য জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। গত ৩০ বছর ধরে টানা বিজেপি গুজরাতের সরকারে রয়েছে। লোকনীতি-সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিজ (সিএসডিএস) সমীক্ষা করে। গত ৩০ বছরে বিজেপির কাছে গুজরাতের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ সন্তুষ্ট বলে সমীক্ষার ফলাফলে জানা গিয়েছে। এক তৃতীয়াংশ মানুষ গুজরাতে বিজেপি সরকারের কাজে মোটেই খুশি নন। লোকনীতি-সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিজ (সিএসডিএস) সমীক্ষাটি ১০ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত করেছিল। ২০টি নির্বাচনী এলাকায় ৮০টি ভোট কেন্দ্রে ২১৩৫ জনের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
গুজরাতে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল
গুজরাতে গত কয়েক দশক ধরে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। অন্যদিকে, চলতি গুজরাত নির্বাচনে আপ জোর কদমে প্রচার শুরু করেছে। একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দিল্লি মডেলকে সামনে রেখে মূলত আপ প্রচার করছে। আপের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে গুজরাতে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টি। কংগ্রেস ক্রমেই গুজরাতে তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। গুজরাতে প্রচারে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে বলেও আপের তরফে দাবি করা হয়েছে। লোকনীতি-সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিজ (সিএসডিএস) সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গুজরাতে বিজেপিকে বেশিরভাগ মানুষ ফের ক্ষমতায় আনতে আগ্রহী। তবে অনেকে কংগ্রেসের বদলে আপকেই প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দেখতে চাইছে।
অস্বস্তিতে গুজরাত সরকার
৩০ অক্টোবর গুজরাতের মোরবি শহরে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে গিয়ে ১৩০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। সাত মাস আগে সেতুটি সংস্কারের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। অভিযোগ, সেতু সংস্কারের কাজ একটি ঘড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাকে কেন দেওয়া হল। অন্যদিকে, পৌরসভার ফিট সার্টিফিকেট পাওয়ার আগে চারদিন ধরে কীভাবে সাধারণ মানুষ ঝুলন্ত সেতু পর্যটনের উদ্দেশ্যে যেতে পারল। কংগ্রেস ও আপ সরাসরি গুজরাতে বিজেপি সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এসেছে। যদিও গুজরাত সরকারের তরফে সাফাই হিসেবে কিছু বলা হয়নি। এছাড়াও বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়ে গুজরাত সরকার বিতর্কের মুখে পড়েছে।
ফের আইনি জটিলতায় ডিএ! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য