সোমবারেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা! কেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয় জানেন?
দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতেই তাঁর এই সফর বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষ করে G20-সম্মেলনের যাবতীয় দায়িত্ব রয়েছে ভারতের হাতে। এই সংক্রান্ত এই বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লি সফর বলেই জানিয়েছে
দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতেই তাঁর এই সফর বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষ করে G20-সম্মেলনের যাবতীয় দায়িত্ব রয়েছে ভারতের হাতে। এই সংক্রান্ত এই বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লি সফর বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশনে অংশ নেন তিনি।
আর সেখানেই তাঁর কর্মসূচির বিষয়ে তথ্য দেন প্রশাসনিক প্রধান। আর সেখানেই তাঁর দিল্লি সফর নিয়ে তথ্য দেন। তবে রাজধানী সফরে কোনও রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সনদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর এবার খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
জি-20 বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লি যাওয়া।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, জি-20 বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লি যাওয়া। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয়, তৃণমূল সুপ্রিমো হিসাবে তাঁর এই সফর বলেও জানিয়েছেন প্রশাসনিক প্রধান। আর এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। আগামী পাঁচ ডিসেম্বর অর্থাৎ সোমবার এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে মোদী-মমতা বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিকমহল। তবে যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এবার মোদী মুখোমুখি হচ্ছেন না মমতা সেই কারণে সরকারি কোনও আলোচনা নাও হতে পারে এবার। তবে মমতা জানিয়েছেন, এই বৈঠকের মাঝে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎের সময় নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা করা হয়নি।
এই বৈঠক খুব গুরুত্বপূর্ণ
তবে এই বৈঠক খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে আয়োজিত জি-20 সম্মেলন। যেখানে একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতারা উপস্থিত হবেন। একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে। ইতিমধ্যে এই সম্মলেনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক বৈঠক হবে। যার মধ্যে বাংলাতেও চারটে বৈঠক হওয়ার কথা। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি-দার্জিলিংয়ে জি-২০ সংক্রান্ত মূল পর্যায়ের অনুষ্ঠান হবে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সনদের সঙ্গে বৈঠক করতে চান প্রধানমন্ত্রী।
দিল্লি সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দিল্লি সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দিল্লি সফরের মাঝেই আজমের শরিফ যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই আজমের শরিফ যাওয়ার ইচ্ছা ছিল নেত্রীর। এবার সেই সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে দিল্লি সফরের মাঝেই আজমের শরিফ ঘুরে আসবেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমো। এমনকি পুষ্কর যাওয়ারও ইচ্ছা তাঁর রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুই তীর্থক্ষেত্রে রেল যোগাযোগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আর সেই সময় থেকই তাঁর এই জায়গাতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক প্রধান ।