এগিয়ে আসছে গুজরাতের ভোট, জনসভা থেকে নর্মদা নিয়ে মেধা পটেকর ও কংগ্রেসকে আক্রমণ মোদীর
গুজরাতে ভোট সামনে এসে গিয়েছে। তার আগে জোরকদমে চলছে প্রচার। নিজের ঘরের মাঠে জোরকদমে প্রচার করছেন নরেন্দ্র মোদী। আজ তিনি গিয়েছিলেন সুরেন্দ্রনগরে। সেখানে পয়লা ডিসেম্বর ভোট আছে। সেখানে গিয়ে তিনি আক্রমন করলেন কংগ্রেসকে। তিনি সুর চড়ালেন নর্মদা বাচাও আন্দোলন নিয়ে। আক্রমন করলেন রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো পদযাত্রায় মেধা পটেকরের যোগদান নিয়ে। তিনি ভোটারদের এই আবেদন করেছেন যে নর্মদা নিয়ে আন্দোলন করছেন তাঁদের শাস্তি দিন।
মেধা পটেকর ও কংগ্রেসকে আক্রমণ
নরেন্দ্র মোদী বলেন যে, "এবারেও মোদী বা ভুপেন্দ্র ভোটে লড়ছে না। লড়ছেন গুজরাতের মা বোনেরা। আজকে সুরেন্দ্রনগরে এলেই মনে পড়বে নর্মদার কথা। আমি এখানকার উন্নয়নের জন্য নর্মদা যোজনার জন্য এখানে এসেছি বহুবার, কিন্তু আজ ভেবে দেখুন যাদের ভারতের মানুষ গদি থেকে নামিয়ে দিয়েছে তাঁরাই আবার পদের জন্য যাত্রা করছে।"
এরপর মোদী বলেন, 'হ্যাঁ আপনি পদের জন্য যাত্রা করতেই পারেন, কারন আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী কিন্তু যারা গুজরাতকে পিপাসায় মরার দিকে ঠেলে দিল, যারা নর্মদাকে গুজরাতে ঢুকতে বাধা দিল। আদালতে কেস করে করে ৪০ বছর ধরে তা নষ্ট করে গেল সেই নর্মদা প্রতিবাদিরা আবার আজকে হাঁটছে পদযাত্রায়। হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটছে। গুজরাতের মানুষ আপনাদের শাস্তি দেবে'
মোদীর আক্রমন
নভেম্বরের ২০ তারিখে রাজকোটের ধোরাজি জেলায় গিয়েও মোদী আক্রমন করেন বিপক্ষকে। সেখানেও এই মেধা পটেকরের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রায় হাঁটা নিয়ে সর চড়ান।
কী বলছেন মোদী?
নরেন্দ্র মোদী বলেন যে, "এই জেলায় জলের দরকার ছিল, আগের সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল ট্যাঙ্কার মাফিয়াদের, মানুষের জলের প্রয়োজনের ছবি প্রকাশিত হয়েছে সংবাদপত্রে। সব কিছু হয়েছে তাদ্র জন্য। তাঁদের মানুষ শাস্তি দেবেই।"
.
বিজেপি আসলে সর্দার সরোবর ড্যামে মেধা পটেকরের আন্দোলনের জন্য চাপে পড়ে গিয়েছিল। ওই বাঁধ চালু হু ২০১৭ সালে। মোদী কংগ্রেসের উপর এই নিয়েও আক্রমণ শানান যে, তাঁরা শুধু তার বিরুদ্ধে কোথা বলেন উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন না।
এগিয়ে আসছে নির্বাচন
ঘটনা হল গুজরাতে এগিয়ে আসছে নির্বাচন। সেখানে বিজেপির থেকে পিছিয়ে কংগ্রেস এবং আপ। সরকার গড়ার স্পম্ভাবনা বেশি বিজেপির। আপের প্রবেশে ভোট কমতে পারে কংগ্রেসের। ভোট বাড়বে বিজেপির, আসন সংখ্যাও বাড়তে পারে অন্তত ৩০টি। তবে সেখানে বিজেপির অনেক চাপ ছিল তারপরেও ভালো বিরধীর অভাবে ভালোভাবে জিতে যেতে পারে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।