দেশের আর্থিক মন্দা কাটাতে জিএসটি পর্যালোচনায় বসছে নরেন্দ্র মোদী সরকার
কিছুতেই কাটানো যাচ্ছে না আর্থিক মন্দা। শেয়ারবাজার আর চাঙ্গা হচ্ছে না। কোনও কিছু করেই সমস্যা কাটছে না। শেষে পরিস্থিতি বিবেচনা করে জিএসটি নিয়ে পর্যালোচনায় বসতে চলেছে মোদী সরকার।
কিছুতেই কাটানো যাচ্ছে না আর্থিক মন্দা। শেয়ারবাজার আর চাঙ্গা হচ্ছে না। কোনও কিছু করেই সমস্যা কাটছে না। শেষে পরিস্থিতি বিবেচনা করে জিএসটি নিয়ে পর্যালোচনায় বসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২ বছর হয়ে গেল দেশে জিএসটি চালু হয়েছে। এর মধ্যে আবার গত মাসে জিএসটি সংগ্রহে ঘাটতিও দেখা দিয়েছে। যা আগে কখনও হয়নি।
দেশের এই আর্থিত মন্দার অন্যতম কারণ জিএসটি বলেও রব উঠতে শুরু করেছে। তার পরেই বোঝ হয় নড়েচড়ে বসেছে মোদী সরকার। জিএসটি চালুর পর এই প্রথম সেটির পুণর্মূল্যায়ণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই দায়িত্ব ১২ সদস্যের এক কমিটিকে দিয়েছেন মোদী। এই কমিটি গঠন করার আগে প্রধানমন্ত্রী দফর সচিবদের সঙ্গে এক দফায় আলোচনাও সেরেছে।
কোন ভাবে কোন সামগ্রির উপর জিএসটি কী পরিমাণ করলে সরকারের কোষাগার পূর্ণ হবে এবং অর্থনীতি চাঙ্গা হবে সেটা নিয়েই পর্যালোচনা করবে এই ১২ সদস্যের জিএসটি রিভিউ কমিটি। প্রত্যেকটি বিষয়ই সিস্টেমেটিক ভাবে খতিয়ে দেখবে তারা। একই সঙ্গে বিভিন্ন দ্রব্যের উপর জিএসটির পরিমানও পুনর্মূল্যায়ন করবে।
এখনও পর্যন্ত যে পরিমান জিএসটি সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার তাতে ৫ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। মাস পুরো হলে সেই ঘাটতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাড়ির বাজারের মন্দার কারণ হিসেবে জিএসটিকেই অন্যতম বলে দায়ী করেছেন ব্যবয়ায়ীরা। শুধু কেন্দ্রের নয় রাজ্য সরকারগুলিরও জিএসটি সংগ্রহ ঘাটতির মুখে। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেও ফিনান্স কমিশনের চেয়ারম্যান এনকে সিং দাবি করেছিলেন ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ জিএসটির এই ধাপগুলি আবারও বিবেচনা করা উচিত। তারপরেই এই জিএসটি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।