জুমলাবাজি, শকুনি, স্বৈরাচারী ! 'অসংসদীয় শব্দ' নিষিদ্ধ হল সংসদে, মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে তুমুল সমালোচনা
জুমলাবাজি, শকুনি, স্বৈরাচারী ! 'অসংসদীয় শব্দ' নিষিদ্ধ হল সংসদে, মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে তুমুল সমালোচনা
বাদল অধিবেশনের আগে নতুন নিয়ম চালু করল মোদী সরকার। সংসদ অধিবেশনে এবার কোনও নেতাই জুমলাবাজি, দুর্নীতি, শকুন,স্বৈরাচারী শব্দের ব্যবহার করতে পারবেন। মোদী সরকারের এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীরা তীব্র িনশানা করে চলেছে মোদী সরকারকে।
শব্দের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
সামনেই শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগেই নতুন িনয়ম জারি করল মোদী সরকার। এবার আর সংসদ অধিবেশে জুমলাবাজী, শকুন, দুর্নীতি, স্বৈরাচারী এই সব শব্দ আর ব্যবহার করা যাবে না সংসদ অধিবেশে। এই শব্দগুলির ব্যবহার অসংসদীয় বলে ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। মোদী সরকারের পক্ষ থেকে অসংসদীয় শব্দের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে রয়েছে অপব্যবহার, লজ্জাজনক, জুমলাবাজি, নাটক, তানাসাহি, দুর্নীতিগ্রস্ত, শকুনি, স্বৈরাচারী, খালিস্তানি। জয়চাঁদ শব্দটিকেও অসংসদীয় শব্দের তালিকায় রাখা হয়েছে। এমনকী কোভিড স্প্রেডার শব্দটিকেও অসংসদীয় শব্দের তালিকায় রাখা হয়েছে।
তুমুল সমালোচনা বিরোধীদের
এই িনয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীরা সরব হয়েছেন মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে। সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করতেই এই সব শব্দের ব্যবহারে িনষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। কংগ্রেস, টিএমসি সহ একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন মোদী সরকারের এই অসংসদীয় শব্দের তালিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদ অধিবেশন। তার আগে সর্বদল বৈঠকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিরোধীদের কণ্ঠ রোধের চেষ্টা
সংসদ বাদল অধিবেশনের আগে যে অসংসদীয় শব্দের তালিকা প্রকাশ করেছে সেটা পুরোটাই পরিকল্পিত বলে অভিযোগ বিরোধীদের। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে মহুয়া মৈত্র সকলেই অভিযোগ করেছেন বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই মোদী সরকার এই কাজ গুলি করছে। আবার অনেকে দাবি করেেছন দেশ যে সংকটের মধ্যে রয়েছে তার থেকে নজর ঘোরাতেই মোদী সরকার এইসব কাজ করছে। সংসদ অধিবেশনের আগে অসংসদীয় শব্দের তালিকা প্রকাশ করে বিরোধীদের নজর অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁরা যাতে আসল সমস্যা িনয়ে কথা না বলে সেকারণেই এই সব কাজ করছে মোদী সরকার।
মোদীকে নিশানা
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রায় প্রতিবারই সংসদ অধিবেশনের সময় জুমলাবাজি শব্দটির ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এবার সেটি অসংসদীয় শব্দের তালিকায় এসে যাওয়ায় তার প্রয়োগ করতে পারবেন না। মোদীকে আক্রমণ শানাতে এমন অনেক শব্দেরই ব্যবহার করে থাকেন বিরোধীরা। সেই সব শব্দগুলিকে বেছে বেছেই অসংসদীয় শব্দের তালিকায় রাখা হয়েছে। কেই যদি সেই সব শব্দের প্রয়োগ মুখ ফস্কেও করে ফেলেন তাহলে তাঁকে সাজার মুখে পড়তে হয়। এমনকী স্পিকার তাঁকে সাসপেন্ড করতে পারেন।
দিঘায় ভয়ঙ্কর সমুদ্র, তীব্র জলোচ্ছ্বাসে গার্ড ওয়াল টপকে হু হু করে জল ঢুকছে শহরে