আচমকাই কুম্ভমেলার পুণ্যার্থীর সংখ্যা কমিয়ে ফের সমালোচনায় বিদ্ধ উত্তরাখণ্ড প্রশাসন
পুণ্যার্থীর সংখ্যা কমিয়ে ফের সমালোচনার শিকার উত্তরাখণ্ড প্রশাসন
হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করেছিল আগেই। সঙ্গে নানা মহলের চাপে পর্যুদস্ত হয়ে কুম্ভমেলা সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট পাল্টে ফেলল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। গত এপ্রিলে হওয়া ওই মেলা এবং চারধাম যাত্রায় আগে যে পরিমাণ পুণ্যার্থীর উপস্থিতির কথা বলা হয়েছিল, তা এক ধাক্কায় প্রায় ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। আর তাতেই হতবাক হয়েছে দেশের বিভিন্ন মহল। ফের সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে উত্তরাখণ্ড সরকারকে।
এক ধাক্কায় ৭০ শতাংশ কম
করোনা ভাইরাসের আবহে গত এপ্রিলে উত্তরাখণ্ডে কুম্ভমেলা আয়োজন করা হয়েছিল। যে তিন দিন পুণ্যস্নানের পুণ্যতিথি ছিল, সেই ১২, ১৩ এবং ১৪ এপ্রিলের যত সংখ্যক মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন, তার জেরে দেশে অতিমারীর প্রভাব বেড়েছে বলে দবি করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকার ও জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে ওই তিন দিন ৪৯ লক্ষ পুণ্যার্থী মেলায় হাজির হয়েছিলেন। হাইকোর্ট সহ নানা মহলের চাপে আচমকাই সেই রিপোর্টে পরিবর্তনও ঘটানো হল। জানানো হয়েছে যে ১২ এবং ১৩ এপ্রিল কুম্ভমেলায় যথাক্রমে ২১ এবং ৩ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় করেছিলেন। ১৪ এপ্রিল শাহী স্নানে ১২ লক্ষ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
কতটা বেড়েছে করোনা সংক্রমণ
গত পয়লা এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছিল। সেই সময় উত্তরাখণ্ডে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬২৬। কুম্ভমেলা শেষ হতেই সেই সংখ্যা এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল বলে জানানো হয়েছে। ৩০ এপ্রিল উত্তরাখণ্ডে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১১০৭৫-এ গিয়ে পৌঁছেছিল। এপ্রিলে সে রাজ্যে ৯০ জন অতিমারীর বলি হয়েছিলেন।
হাইকোর্টের ভর্ৎসনা
করোনা ভাইরাসের আবহে কুম্ভমেলার আয়োজন করা নিয়ে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকারকে। অতিমারী বিধি লঙ্ঘন করে হরিদ্বারে এত বড় উৎসব আয়োজন করে রাজ্য সরকার নিজেদেরকে লজ্জায় ফেলেছে বলে জনিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে কুম্ভমেলা নিয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল।
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাব
গোটা দেশে প্রায় ২ কোটি ৮ লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লক্ষ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষের নিচে নামলেও মৃতের সংখ্যা খুব বেশি কমেনি বলে জানানো হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল হতে হচ্ছে সরকারকে।