ধর্ষিতা নাবালিকা ২৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা, গর্ভপাতে মত দিল সুপ্রিম কোর্ট
আহমেদাবাদ, ১ অগাস্ট : ১৪ বছরের এক নাবালিকা ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল। প্রায় ২৫ সপ্তাহের গর্ভবতী অবস্থা থেকে অবশেষে মুক্তির পথ দেখাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ও তত্ত্বাবধানে ভারতে এই প্রথমবার এত সপ্তাহের একজন গর্ভবতীর গর্ভপাত করানো হল।
আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল সফলভাবে গর্ভপাত করায় বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। [৬ বছর ধরে মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ বাবার, নীরব দর্শক মা]
দশম শ্রেণিতে পাঠরতা ওই কিশোরী সুস্থ রয়েছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। জানা গিয়েছে, আইনত ২০ সপ্তাহের বেশি সময় গর্ভবতী অবস্থায় থাকলে গর্ভপাত করানোর আইনি অনুমতি দেয় না আদালত। [ধর্ষণে শীর্ষ স্থানাধিকারী ১০ টি দেশের তালিকা]
কিশোরীটি এই বছরের শুরুতেই টাইফয়েডের চিকিৎসা করাতে যতীন মেহতা নামে এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেই লোকটিই তাকে ধর্ষণ করে গর্ভবতী করে দেয়। গর্ভবতী অবস্থা ধরা পড়ার পর গর্ভপাতের আইনি অনুমতি নিতে প্রথমে হিম্মতনগর দায়রা আদালতে ও পরে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। [ধারের টাকা শোধ করতে না পারায় ভাইয়ের বউকে অচৈতন্য করে ধর্ষণ]
তবে ২০ সপ্তাহের বেশি হওয়ায় কোনও আদালতই গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হলে সব শুনে গর্ভপাতের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে শীর্ষ আদালত।