ধারের টাকা শোধ করতে না পারায় ভাইয়ের বউকে অচৈতন্য করে ধর্ষণ
চণ্ডীগড়, ২ জুলাই : ঋণ হিসাবে নেওয়া টাকা সময়ে শোধ করতে না পেরে, হিংস্র দাদার হাতে বউকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল সঞ্জয়। সেই রাতে সে জেনে বুঝে আশ্রয় নিয়েছিল দূরে এক কাকার বাড়িতে।
সেই সুযোগে তার দাদা বিজয় সঙ্গে হরকেশ নামে এক পরিচিতকে নিয়ে এসে ভাইয়ের বউকে হাত-পা-মুখ বেঁধে, নেশার ইনজেকশন দিয়ে অচৈতন্য করে ভয়াবহভাবে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ।
হাড়হিম করা ঘটনাটি হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার চরকি-দাদরি এলাকায়। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী তাঁর স্বামী সঞ্জয় দাদা বিজয়ের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল।
অভিযুক্ত বিজয় কয়েকদিন ধরেই সেই টাকা ফেরত দিতে চাপ দিচ্ছিল। কিছুদিন আগে বছর ২৯-এর ওই মহিলা দিল্লির দরিয়াপুর গ্রামে তাঁর বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে কিছুদিন থাকার পর দুই সন্তানকে রেখে গতমাসে তিনি হরিয়ানায় শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন।
নির্যাতিতার অভিযোগ, এরপরই একদিন তাঁর স্বামী সঞ্জয় রাতে ইচ্ছে করে বাড়িতে না থেকে এক কাকার বাড়ি চলে যান। সেই সুযোগে ভাসুর বিজয় এসে তাঁকে খাটের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে রেখে, ইনজেকশন দিয়ে অচৈতন্য করে ধর্ষণ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার অবস্থার অবনতি হলে তিনি দিল্লিতে তাঁর পরিবারকে খবর দিলে লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে রাজধানীর রাও তুলা রাম হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বিজয়ের স্ত্রী বিমলাও এই ঘটনায় সঙ্গ দিয়েছে বলে নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ঘটনার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক সুমন বালা।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।