গুজরাত 'সংকট' সামাল দিলেন অমিত শাহ, 'রফা সূত্র' মেলায় কাজে যোগ দিলেন নীতিন
আপাতত গুজরাতে সংকটে সামাল দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সূত্রের খবর, দফতর বন্টনে অসন্তুষ্ট গুজরাতের উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেলকে চিঠি দিয়ে তাঁর দফতর অদলবদলের আশ্বাস দেন অমিত শাহ। এরপরেই কাজে যোগ।
আপাতত গুজরাতে সংকটে সামাল দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সূত্রের খবর, দফতর বন্টনে অসন্তুষ্ট গুজরাতের উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেলকে চিঠি দিয়ে তাঁর দফতর অদলবদলের আশ্বাস দেন অমিত শাহ। এরপরেই উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে যোগ দেন নীতিন।
চিঠিতে তাঁকে, তাঁর দাবি মতো দফতর দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটাই জানিয়েছেন এ পাতিদার নেতা। সচিবালয়ে গিয়ে দফতরগুলির দায়িত্বও তিনি নেবেন বলে জানিয়েছিলেন নীতিন প্যাটেল।
গুজরাতের অন্যতম রাজনৈতিক হেভিওয়েট এবং পাতিদার নেতা শপথ নেওয়ার পর অর্থ ও নগরোন্নয়ন দফতর না পাওয়ায় সরকার ছাড়ার হুমকি দেন বলে জানা গিয়েছিল।
পাতিদার আন্দোলনের অন্যতম মুখ হার্দিক প্যাটেল নীতিন প্যাটেলকে বিজেপি থেকে বেরিয়ে এসে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধতেও আহ্বান জানান। যদি বিজেপি তাঁকে সম্মান না জানায়, তাহলে দল ছাড়া উচিত নীতিন প্যাটেলের। এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন হার্দিক প্যাটেল। যদি নীতিন প্যাটেল ১০ এমএলএ নিয়ে দল ছাড়তে পারেন, তাহলে তাঁকে ভাল জায়গা দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন, হার্দিক।
সংবাদ সংস্থাকে নীতিন প্যাটেল জানিয়েছিলেন, নিজের সম্মানের জন্যই লড়াই। দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি নিয়ে তিনি জানিয়েছেন এবং নেতৃত্ব তাঁকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেছিলেন নীতিন। বিষয়টি নিয়ে কোনও বক্তব্য জানাতে অস্বীকার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি।
বিগত সরকারে অর্থ এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন নীতিন প্যাটেল। কিন্তু এবার তাঁকে স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। একইসঙ্গে আরও কয়েকটি দফতরের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সূত্রের খবর অনুয়ায়ী, এইসব দফতরের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছিলেন নীতিন প্যাটেল।
নতুন সরকারে অর্থ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, পাতিদার রাজনীতিক সৌরভ প্যাটেলকে। অন্যদিকে রূপানি নিজের হাতে রেখেছিলেন নগরোন্নয়ন দফতরকে। গুজরাত রাজনীতির খবরাখবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা জানিয়েছেন, নীতিন প্যাটেল একবারে নিচের তলা থেকে উঠে আসলেও সৌরভ প্যাটেল ছিলেন ভিন্ন প্রকৃতির। কর্পোরেট জগতের সঙ্গেই তাঁর ওঠা-বসা।
১৯৯৫ সালে প্রথমবার রাজ্যের মন্ত্রী হন নীতিন প্যাটেল। সেই সময় স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে আনন্দীবেন প্যাটেলকে যখন সরানো হয়, সেই সময় উঠে এসেছিল নীতিন প্যাটেলের নাম। কিন্তু অমিত শাহের কাছে লোক হওয়ার কারণে বিজয় রূপানি দায়িত্ব পেয়ে যান।
এই মুহূর্তে গুজরাত বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ৯৯। এক নির্দল বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন। ১৮২ আসনের বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার থেকে মাত্র সাতটি আসন বেশি পেয়েছে বিজেপি। সেখানে ১০ বিধায়ক বেরিয়ে গেলে সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে।
এদিকে, নীতিন প্যাটেলকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে হার্দিক প্যাটেলের কাছে লোক লালজি প্যাটেল গুজরাতের মেহসানার ১ জানুয়ারি বনধের ডাক দিয়েছেন।